অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিশ্বরেকর্ড
চলছে বিশ্বকাপ ফুটবলের উন্মাদনা। আর এই সুযোগে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা বুঝি চাপহীন এক ইনিংসই খেলে ফেললো! ৫০ ওভারের ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিক এখন ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তটা যে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এতটা আত্মঘাতী হয়ে যাবে সেটা কে ভেবেছিল।
ঘরের মাঠে আগের দুই ম্যাচ জিতে মানসিকভাবে এগিয়েই ছিল ইংলিশরা। তার প্রভাব দেখা গেল তৃতীয় ম্যাচে। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় আর জনি বেয়ারেস্ট্রো প্রথম থেকেই চেপে বসেন অজি বোলারদের ওপর। দুজনই রান তুলতে থাকেন দ্রুত। অল্পের জন্য শতক হাঁকাতে না পারলেও জেসন রয় করেন ৬১ বলে ৮২ রান। আরেক ওপেনার জনি বেয়ারেষ্ট্রো আর হাতছাড়া করেননি শতক।
অস্ট্রেলীয় বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯২ বলে করেন ১৩৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৬ চার আর পাঁচটি ছয়। দুই নম্বরে ব্যাট করতে আসা এলেক্স হেলসও তুলে নেন শতক। বেয়ারেস্ট্রো সমান ৯২ বল খেলে করেন ১৪৭ রান।
মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে এসে মাত্র ৩০ বলে করেন ৬৭ রানের দ্রুততম ইনিংস খেলে ইতিহাস গড়ার পথটা সহজ করে দেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪৮১ রান। ২০১৫ সালের পর থেকে ওয়ানডে ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি ৩৩ ইনিংসে ৩০০-এর ওপরে রান করেছে ইংল্যান্ড। এর ভেতরে জিতেছে ২২টি ম্যাচ।
ইংল্যান্ড : ৫০ ওভারে ৪৮১/৬ (রয় ৮২, বেয়ারস্টো ১৩৯, হেলস ১৪৭, বাটলার ১১, মর্গ্যান ৬৭, মইন ১১, রুট ৪*, উইলি ১*; স্ট্যানলেক ০/৭৪, রিচার্ডসন ৩/৯২, অ্যাগার ১/৭০, টাই ০/১০০, ম্যাক্সওয়েল ০/২১, স্টয়নিস ০/৮৫, ফিঞ্চ ০/৭, শর্ট ০/২৩)
অস্ট্রেলিয়া : ৩৭ ওভারে ২৩৯ (শর্ট ১৫, হেড ৫১, মার্শ ২৪, স্টয়নিস ৪৪, ফিঞ্চ ২০, ম্যাক্সওয়েল ১৯, পেইন ৫, অ্যাগার ২৫, রিচার্ডসন ১৪, টাই ৫*, স্ট্যানলেক ১; উড ০/৩৮, উইলি ২/৫৬, রুট ০/১৯, মইন ৩/২৮, প্লাঙ্কেট ০/৪১, রশিদ ৪/৪৭)।
ফল : ইংল্যান্ড ২৪২ রানে জয়ী সিরিজ : ৫ ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ৩-০তে এগিয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ : অ্যালেক্স হেলস
পিডিএসও/হেলাল