নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

ঢাকা মহানগর আ.লীগের সম্মেলন

আসছে ক্লিন ইমেজের ত্যাগী ও দক্ষ নেতৃত্ব

প্রবীণ-নবীনের সমন্বয় ঘটবে

ক্ষমতাসীন দলের ‘হৃৎপিণ্ড’ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন আজ। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আশা করছেন, শুদ্ধি অভিযানের প্রভাব পড়বে এই কাউন্সিলে, উঠে আসবে সৎ, দক্ষ, পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব। উৎসবমুখর পরিবেশে সম্মেলন সম্পন্ন করতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন দায়িত্বশীলরা। সম্মেলনের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে।

শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একযোগে উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন দলীয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শুরু হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। সেখান থেকে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করবেন।

উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদকরা বলছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগ এখন অনেক বেশি সংগঠিত। দুই সিটি মিলিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে এবার প্রার্থী এক ডজনেরও বেশি। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে নেতৃত্ব বাছাইয়ে অনেক বেশি সতর্ক তারা।

দলীয় সূত্র জানিয়েছেন, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে পরিবর্তনের যে ধারা শুরু হয়েছে তা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলেও অব্যাহত থাকবে। ঢাকা মহানগরের দুই কমিটিতেই বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি হলেও থাকবে নতুন মুখ।

নেতৃত্বে কারা আসছেন আর কারা বাদ পড়ছেন তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে দলের জন্য ত্যাগী ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের হাতেই থাকবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, তার প্রতিফলন সব জায়গায় লক্ষ্য করা যাবে। অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের যে তালিকা করা হয়েছে, তাদের পদে রাখা হবে না। ঢাকা মহানগর কমিটির সম্মেলনেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দীর্ঘদিন পরও কমিটি দিতে না পারায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাককে দক্ষিণ এবং লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে উত্তরের কমিটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পরে সম্মেলনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মহানগর উত্তরে এ কে এম রহমত উল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও মো. শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকার দুই অংশে কমিটি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ভেঙে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুটি কমিটি হয়। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগরের ৪৯ থানা, ১০৩ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঢাকা মহানগর আ.লীগ,ত্রিবার্ষিক সম্মেলন,ঢাকা মহানগর উত্তর,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close