প্রতীক ইজাজ

  ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

আলো ছড়াচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা

ধীরে ধীরে আলোর পথে এগোচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা। বিজয়ের ৪৬ বছর শেষে দেশ ছাড়িয়ে সে আলো ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বময়। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্ব অঙ্গনে। মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে। এখন মুক্তিযুদ্ধের আলোয় প্রজ্জ্বলিত একটি মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগোতে থাকা বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ।

গবেষকরা বলছেন, নানা সংকট পেরিয়ে দেশের ভেতর ও বাইরে মুক্তিযুদ্ধ আলো ছড়াচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ পড়ানো হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক বিশেষ কোর্স। মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রণয়ন হচ্ছে স্বাধীনতার বিরোধী রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের তালিকাও। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। ইতোমধ্যেই ফাঁসিতে ঝুলেছে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীরা। দেশ স্বাধীনের ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম ক্ষমতায় এসে গণকবর ও বধ্যভূমিসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। সে কর্মযজ্ঞ এখনো অব্যাহত। দেশ-বিদেশে বেশ কিছু মুক্তিযুদ্ধ-ই আর্কাইভ গড়ে উঠেছে। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক দুর্লভ দলিলপত্র। মাসিক ভাতাসহ এখন নানা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বিভিন্ন পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা। আরো এক বছর চাকরির বয়সসীমা বেড়েছে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মচারীদের।

অন্যদিকে, ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো)। বিশ্বের অন্তত ছয় দেশের সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে একাত্তরে বাঙালি নিধনযজ্ঞের নির্মম ইতিহাস। একাধিক বিদেশি গবেষকও একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে গবেষণা করছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সম্মানসূচক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। দুদেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়ার রাজনগর ব্লকের চোত্তাখোলায় তৈরি করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত আন্তর্জাতিক মানের ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান’। পাঁচটি দেশ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক মানের প্রামাণ্যচিত্র। একাত্তরের কালরাত ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক বা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেতে সরকারি পর্যায়ে চলছে প্রাণান্তকর চেষ্টা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দীর্ঘ সময় নানা সংকট পেরোতে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করতে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। জাতির জনক ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল বিরোধীরা। সর্বশেষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের ভীষণ ক্ষতি করেছে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নানা তৎপরতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে ও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্জন অনেক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার ব্যতিরেকে এ পর্যন্ত কোনো সরকারই কিছু করেনি। মুক্তিযুদ্ধের জন্য শেখ হাসিনা যা করেছেন, গত ৫০০ বছরেও তা হয়নি। বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তিনি এ জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। সামগ্রিকভাবে যেমন আমাদের অর্জন রয়েছে, তেমনি অপূর্ণতাও রয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে সংস্কৃতি ও রাজনীতি যেভাবে এগিয়েছে; তেমনি সংস্কৃতি ও অর্থনীতি একসঙ্গে এগোতে পারেনি। আর পারেনি বলেই এখনো ধর্মীয় মৌলবাদ রয়ে গেছে।

এই গবেষকের মতে, দীর্ঘ ৪৬ বছরের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় মাত্র ২১ বছরের মতো। ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিস্তার তেমনভাবে হয়নি। এর মধ্যে যেটুকু অর্জন, তার সবটুকুর কৃতিত্ব বর্তমান সরকার অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার তিন দফা ক্ষমতার সময়ই মুক্তিযুদ্ধ আলো ছড়িয়েছে বিশ্বময়।

মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৯৭১ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পরিবর্তন করা হয়েছে ছয়বার। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মানদ- পাল্টেছে ১০ বার। গত জানুয়ারি থেকে নতুন করে আরো মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভুক্ত করতে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখের বেশি হলেও অনলাইনে ও সরাসরি আরো দেড় লাখ আবেদন জমা পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কাজ চলছে। তবে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে অভিযোগ রয়েছে, এমন ৩০ হাজার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ নয় হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে জানিয়ে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে গত ৬ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা করার জন্য সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। আদালতের আদেশে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এপ্রিলের শুরুতে এই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়। তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে যাবতীয় বিতর্কেরও অবসান হলো। তবে যেহেতু তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে, এতে আরো সংখ্যা যোগ করা হতে পারে।

এই দীর্ঘ সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধাও বেড়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা প্রথমে দুই বছর এবং পরে আরো এক বছর বাড়িয়ে দেয়। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য নির্ধারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির পদ সংরক্ষণ করা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৮০টি আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। পাশাপাশি দুস্থ মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল থেকেও অনুদান পাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি হাসপাতালে সব রকম স্বাস্থ্যপরীক্ষা বিনা মূল্যে করাতে পারছেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য ৩০ শতাংশ চাকরি কোটা রয়েছে।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন তালিকা আছে, তেমনি রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী জানান, বেতনভুক্ত রাজাকার-আলবদর-আলশামসদের একটা তালিকা ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু খালেদা-নিজামীর সরকারের সময়ে ওই তালিকাটি সুকৌশলে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। থানাগুলোতে অল্পসংখ্যক তালিকা আছে, আমরা তালিকা করার পদক্ষেপ নিয়েছি।

অন্যদিকে, বিশ্বের অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে কানাডা, আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, পোল্যান্ডসহ আরো কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে। দেশের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়টি পড়ানো হয়।

২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছে সরকার। গত ১১ মার্চ সংসদে পাস পাওয়ার পর ২০ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই, এটা সত্য। আমরা দুই বছর আগে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা শুরু করেছিলাম। মাঝপথে তা থেমে গেলেও আবার আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

এ ছাড়া আজ উদ্বোধন হচ্ছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিলোনিয়ার রাজনগর ব্লকের চোত্তাখোলায় ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান’। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম বাংলাদেশের বাইরে কোথাও যুদ্ধের স্মৃতিস্থান সংরক্ষণ করা হলো। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সম্মানসূচক ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রমাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।

ইতোমধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো)। এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে জাতির জনক ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিশ্ব আরো ভালো করে জানতে পারবে বলে মনে করেন গবেষকরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রথম দফায় ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও চিহ্নিত করতে জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় দেশের ৩৫টি স্থানকে বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণ করছে। যদিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মোট কতগুলো স্থান বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সে-সংক্রান্ত কোনো তালিকা পাওয়া যায় না; তবে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এ দেশে প্রায় ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১১৬টি স্থানকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় দেশের ১৭৬টি বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত ১২৯টি বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ চলছে।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

"
প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা,আলো ছড়াচ্ছে,বিজয়ের ৪৬ বছর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist