অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছেন সাংবাদিকরা
সব দলের অংশগ্রহণমূলক আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চেয়েছেন সাংবাদিকরা।
বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে ইসির সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সংলাপের প্রথম দিনে এ মত দিয়েছেন গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইসির সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
সংলাপ শেষে নির্বাচন ভবন থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অনেকেই বলেছেন, তারা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ যাতে হয়, সে বিষয়টির প্রতি জোর দিয়েছেন। তারা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছি।
এছাড়া নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের কথা বলেছেন প্রায় সবাই।
অনেকে মনে করেন- নির্বাচনে সেনা বাহিনীর প্রয়োজন নেই। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিই নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা সুষ্ঠু রাখতে যথেষ্ট।
৩৪ জন গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিক নেতা সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য আজ আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তবে এতে অংশ নেন ২২ জন।
আমন্ত্রিতদের মধ্যে যুগান্তরের সাইফুল আলম, মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী, প্রথম আলোর আনিসুল হক ও সোহরাব হাসান, ভোরের কাগজের শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নঈম নিজাম, বিএফইউজের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, গোলাম সারোয়ার, নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপ শেষে বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের তুলনায় আইনগত দিক থেকে আমাদের কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা বলেছি আপনারা শুধু মেরুদণ্ড সোজা করলেই হবে না, আপনাদের প্রকৃত ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল দলের অংশগ্রহণে কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে গণমাধ্যমের সংলাপে মত দিয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান।
প্রেসক্লাব সভাপতি সংলাপে বলেন, `আমাদের দেশে আইন-শৃঙ্খলা কন্ট্রোলের জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসার ভিডিপি আছে। তারাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সক্ষম। যখন জাতীয় বিপর্যয় হয় তখনই কেবল সেনাবাহিনী আহ্বান করা দরকার হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।`
শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে আহ্বান করলে পুলিশ-র্যাব সাইডলাইনে চলে যাবে। তখন অবস্থা তেমন ভালো থাকবে না।
এদিকে আজকের সংলাপ বিষয়ে বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকালের সংলাপের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন ৩৭ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধি।
পিডিএসও/রিহাব