নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৮ মার্চ, ২০২০

দেশে কমিউনিটি সংক্রমণ বাড়ছে

করোনাভাইরাসের সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রয়েছে বলে মনে করলেও প্রথম সংক্রমণের সূত্র এখনো খুঁজে পায়নি আইইডিসিআর। শুক্রবার কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে চারজনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। যার দুজন চিকিৎসক। অন্য দুজনের পেশাগত পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি সংবাদ সম্মেলনে। তবে জানানো হয়, চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার এবং বাকি দুজন ঢাকার বাইরে। যার তিনজন নারী ও একজন পুরুষ।

মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও আইইডিসিআরের মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, সেবা দেওয়া ছাড়াও কমিউনিটি থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে বলে আবারও জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। আর আক্রান্ত ৪৮ জনের অবস্থা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে আইইউিসিআর।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে বা কোভিড-১৯ এ নতুন আক্রান্ত হওয়া চারজনের মধ্যে একজন এর আগে চিহ্নিত হওয়া একটি ক্লাস্টার থেকে, তবে সেখানে প্রথম সংক্রমণ কোথা থেকে হয়েছিল, সেই তথ্য এখনো হাতে আসেনি বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তিনি বলেন, আজ নতুন আক্রান্ত হওয়া চারজনের মধ্যে সেই ক্লাস্টারভুক্ত আরো একজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি, তবে আমরা আমাদের অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি, যেন নিশ্চিত করতে পারি প্রথম সংক্রমণটি কোথা থেকে হয়েছিল।

এটাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা যাবে কি-না সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। যদিও এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরেনি। কারণ যখনই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হতে পারে মনে হয়েছে, তখনই সেই এলাকাকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। সেখানে আমরা অ্যাকটিভলি রোগী খুঁজছি। কারো লক্ষণ-উপসর্গ আছে কি-না এটা দেখার জন্য অপেক্ষা করি না।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোনো বাড়িতে কারো লক্ষণ-উপসর্গ রয়েছে কি-না, অথবা যাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাদের লক্ষণ না থাকলেও নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্ত তিনজন আগে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

অধ্যাপক সেব্রিনা বলেন, কোনো রোগীকে আইডেন্টিফাই করা যায়, এমন কোনো তথ্য আমরা প্রকাশ করছি না, যদি না রোগী নিজে প্রকাশ করেন। সেটি ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখনই যেখানে কোনো রোগী আমরা শণাক্ত করি, তৎক্ষণাৎ সেই রোগীর সংস্পর্শে যারা আসেন, তাদের লিস্ট করে ফেলি এবং তাদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করে থাকি।

ডা. ফ্লোরা বলেন, হাসপাতালে যখন রোগী মারা গেছেন, তখন সেই হাসপাতালকে জীবাণুমক্ত করার জন্য সাময়িক বন্ধ করে জীবাণুমুক্ত করণ প্রক্রিয়া চলতে পারে, সে কার্যক্রম চলছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
করোনাভাইরাস,করোনা আক্রান্ত,কমিউনিটি ট্রান্সমিশন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close