করোনা সংক্রামণ থেকে মানুষদের বাঁচাতে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত আকারে করার মত দিয়েছেন আলেম-ওলামারা।

মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক বৈঠকে আলেমদের এমন মত দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত করার পক্ষে আলেমদের মতামত এসেছে। আমরা বিস্তারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেব।

করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে বিশিষ্ট আলেমদের মতামতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় আকস্মিক পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জমায়েত বন্ধের পাশাপাশি মসজিদগুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে সম্মানিত মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত ও ক্ষুদ্র পরিসরে রাখা যেতে পারে।

মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে মসজিদে আজান ও জামাত যথাসম্ভব বজায় রাখবেন। মসজিদ বন্ধ থাকবে না তবে সর্বসাধারণ নিজ নিজ গৃহে অবস্থানপূর্বক সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ আদায় করে নেবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তওবা, ইস্তেগফার অব্যাহত রাখবেন। মহান আল্লাহর ক্ষমা, দয়া প্রার্থনা করে যেন আমাদের দ্রুত মুক্তির দুয়ার উন্মুক্ত করেন।

এতে মতামত দিয়েছেন আল-হাইআতুল উলিয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আবদুল কুদ্দুস, মারকাযুদ্দাওয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, শায়খ যাকারিয়া (রহ.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দিলওয়ার হোসাইন, জামিয়া রাহমানিয়া মোহাম্মদপুরের প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক ও ঢাকা নেছারিয়া কামিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. আল্লামা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী।

পিডিএসও/তাজ/হেলাল