reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৯ জুন, ২০১৯

সবাই চায় রোহিঙ্গারা ফিরে যাক : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট সংকটের বিষয়টি ইসলামি দেশগুলোর (ওআইসি) সম্মেলনে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সম্মেলনে এশিয়ার পক্ষ থেকে আমি বক্তব্য দিয়েছি। এতে জঙ্গিবাদ ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। ভালোভাবে তুলে ধরি এসব বিষয়। মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার বিষয়েও কথা হয়।

রোববার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারপ্রধান তার সাম্প্রতিক জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী জুলাইয়ে চীনে যেতে পারি। আশা করি তখন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে। সবাই চায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাক। কিন্তু মিয়ানমারের সাড়াটা পাই না। তারাই আগ্রহী নয়।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী আছে। সবসময় টহলসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সমস্যা দেখছি, ভলান্টিয়াররা (স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) চায় না কোনো রিফিউজি তাদের স্বদেশে ফিরে যাক। তালিকা যখন করলাম প্রত্যাবাসনের জন্য, তখন তারা (রোহিঙ্গারা) আন্দোলন করলো তারা ফেরত যাবে না। এর পেছনে কারা কেন উসকানি দেয়? অনেক সংস্থা চায় না তারা ফিরে যাক। কারণ গেলে তাদের চাকরি থাকবে না। ফান্ড আসবে না।

প্রথমে জাপান সফরের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান সফরে কিছু চুক্তি সই করেছি। কয়েকটি প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করছে। ২৫০ কোটি ডলারের উন্নয়ন সহায়তা চুক্তি সই হয়েছে।

ঢাকার হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সমবেদনা জানানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নিক্কেই সম্মেলনে কি নোট স্পিকার হিসেবে বক্তৃতার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে বক্তৃতায় এশিয়ার দরিদ্র ও গরিব দেশগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ করি।

জাপান সফর শেষে সৌদি সফরের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান থেকে সৌদি আরব যাই। যাওয়ার সময় পাইলট যখন জানালেন, আমরা চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে যাচ্ছি, তখন মনে হলো, কোথায় যাচ্ছি? নিজের দেশে নেমেই যাই, পরের দিন যাই (সৌদি আরবে)।

তিনি এ সময় বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটাকে আন্তর্জাতিক রুটের সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ চলছে। এখানে জ্বালানি নেবে আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলো। শুধু জ্বালানিই নেবে না, সুযোগ পেলে ঘুরবেও। যদি আমরা সেভাবে সি-বিচটাকে দেখাতে পারি। কিছু কিছু এলাকা বিদেশি পর্যটকদের জন্য ডেডিকেটেড (তাদের উপযোগী) করে দেবো। এটা করতে পারলে আমরা পর্যটনে আরো এগিয়ে যাবো।

সরকারপ্রধান সৌদি আরবে ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর মক্কায় ওমরা পালন এবং মদিনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের কথা তুলে ধরেন। সৌদির পর ফিনল্যান্ড সফরের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি শান্তিপূর্ণ দেশ। আইসিটিতে তারা খুবই এক্সপার্ট। এখাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,রোহিঙ্গা,শেখ হাসিনা,সংবাদ সম্মেলন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close