প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ.লীগ নেতাকর্মীদের ঢল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দলের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আজ শনিবার দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এই সংবর্ধনায় যোগ দিতে সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে।
রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত থাকবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
ভারতের আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট ডিগ্রি অর্জন, মহাকাশে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পাঠানো, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড অর্জন ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করায় এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।
আ.লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান হবে আজ। এ অনুষ্ঠানে তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে সংবর্ধনাস্থলকে সাজানো হয়েছে নান্দনিকভাবে। ইংরেজি বর্ণ এল আকৃতিতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠান স্থলে ৩০ হাজার চেয়ার বসানো হয়েছে।
দেশের বরেণ্য চিত্র শিল্পী হাশেম খানের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬টি ছবি নিয়ে আয়োজন করা হবে চিত্র প্রদর্শনীর। এ প্রদর্শনীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবিসহ থাকবে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে লেখা বইসমূহ। এ ছাড়াও প্রদর্শনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও বঙ্গবন্ধুর কারাগারের রোজ নামচা বইদু’টিও স্থান পাবে।
সংবর্ধনাস্থলের বাইরেও ব্যাপকভাবে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সংবর্ধনাস্থলে যে সড়ক দিয়ে আসবেন সে সড়কগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জনের ছবি সংবলিত পোস্টার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।
পিডিএসও/তাজ