মেধা বিকাশে শিশুর মনের কথা শুনুন
‘একদিন ছুটি হবে,অনেক দূরে যাবো। নীল আকাশ আর সবুজ ঘাসে খুশিতে হারাবো।’ আপনার সন্তান হয়তো স্কুল ছুটির অপেক্ষায় থাকে। কবে ছুটি হবে আর কবে ঘুরতে যাবে। কিংবা বৃষ্টি হলেই হয়তো আপনার সন্তান বাসার বাইরে গিয়ে ভিজতে চায়। কিংবা ছাদে গিয়ে রঙ বেরঙের ঘুড়ি উড়াতে চায়। শৈশব তো এমনই। এই সময়ে কেউ নিজেকে চার দেওয়ালের মাঝে আটকে রাখতে চায় না।
ঢাকার শহরে চাইলেও অনেক শিশুরা ছাদে গিয়ে ঘুড়ি উড়াতে পারে না। রাস্তায় গিয়ে সাইকেল চালাতে পারে না। কিংবা সবুজ মাঠে গিয়ে খেলতে পারে না ফুটবল। চার দেওয়ালের ভিতরে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে বসে কার্টুন দেখে নয়তো ভিডিও গেমস খেলে সময় পার করে।
শিশুর পড়ালেখার পাশাপাশি তার আনন্দেরও দরকার আছে। আনন্দ পেতে সে কি চায়। তার মনের কথা শুনুন। শিশুর মেধা বিকাশে আপনি অভিবাবক হিসেবে যা করতে পারেন।
►ছুটির দিনগুলোতে বাচ্চাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। বেড়ানোর ক্ষেত্রে এমন স্থান নির্বাচন করবেন যাতে সে আনন্দ পায়। চিড়িয়াখানা, শিশু পার্ক, জাদুঘর পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। সময় বেশি পেলে কক্সবাজার কিংবা দূরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন।
►অবসর সময়ে শিশুর সাথে গল্প করুন। তার ইচ্ছেগুলো মনযোগ দিয়ে শুনুন। সে যে কাজ করতে ভালোবাসে তাকে তাই করতে দিন। তার পছন্দকে উৎসাহিত করুন। পড়াশুনার বিষয়ে জোর না করে বরং তাকে আগ্রহী করে তুলুন।
►শিশুকে বকা বা ভয় দেখাবেন না।এটি তাদের মনের উপর আঘাত ফেলতে পারে। শান্তভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর সামনে ঝগড়া করবেন না।বাবা-মা ঝগড়া করলে সন্তানরা বিষণ্ণতায় ভোগে যা তাদের মধ্যে পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করে।
►আপনার আচরন তার মানসিকতা তৈরিতে অনেকাংশে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুর সামনে সুন্দর আচরণ করুন।
►শিশুর বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করান। বিভিন্ন শিক্ষামুলক গল্পের বই পড়তে দিতে পারেন।
►শিশুর মধ্যে মানবিক গুণাবলী রপ্ত করে তুলুন। তাকে জনহিতকর কাজে আগ্রহী করে তুলুন। সময়ানুবর্তিতা,অধ্যবসায় এই বিষয়গুলো ও শিশুকে ছোট বেলা হতেই শিক্ষা দিন।
►শিশুর মধ্যে নেতিবাচক কোন বিষয় খেয়াল করলে তাকে বুঝিয়ে বলবেন সুন্দরভাবে,বকা ঝকা করে নয়।
►বাবা-মায়ের সাথে শিশুর একটা সহজ সম্পর্ক তৈরি করুন যেন সে নির্দ্বিধায় মনের সব কথা খুলে বলতে পারে।
►শিশুকে শারীরিক অনুশীলনে আগ্রহী করে তুলুন।প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট খেলাধূলা ও দৌড়াদৌড়ি করতে দিন। এতে তার শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে।
পিডিএসও/তাজ