সমালোচনার মুখে ইরানে তিন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মঙ্গলবার ঘোষিত মন্ত্রিসভায় কোনো নারী সদস্য না রাখায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। এ কারণে বুধবার তিনি মন্ত্রিসভায় তিন জন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নাগরিক অধিকার বিষয়ক সহকারী নিয়োগ করেছেন।
তাদের মধ্যে মাসুমে এবতেকারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরিবার ও নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং লেইয়া জোনেদিকে আইন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছেন শাহিনদক্ত মোলাভার্দি। তিনি বলেন, পুরুষ সদস্যের এই মন্ত্রিসভা এটাই বুঝিয়ে দেয় যে, আসলেই কোনো অগ্রগতি নেই।
আর সংস্কারবাদীদের ভাষ্য, নতুন মন্ত্রিসভায় নারীদের অনুপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ইরানের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে নতিস্বীকার করেছেন রুহানি।
ইরানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাধীন সংস্থাগুলো পরিচালনা করেন ১২ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর মন্ত্রিসভাকে অনুমোদন দেয় সংসদ। তবে গঠিত মন্ত্রিসভাকে সংসদ সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন না। কারণ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় কারা বসবেন, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অনুমোদনের ভিত্তিতে তা নির্ধারণ করা হয়।
গত মে মাসে প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থী এব্রাহিম রাইসিকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন হাসান রুহানি। তিনি ইরানে নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও পশ্চিমের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকার দিয়ে ক্ষমতায় আসেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে 'নারী, মধ্যপন্থা ও উন্নয়ন' শীর্ষক এক সম্মেলনে দেশটির রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে নারীদের আরও বেশি উপস্থিতির আহ্বান জানান রুহানি।
দেশটিতে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর মন্ত্রিসভায় মাত্র একজন নারী সদস্য নিয়োগ পান।তিনি হলেন মার্জিয়ে দাস্তজারদি। যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত রুহানির পূর্বসূরী মাহমুদ আহমেদিনিজাদের সরকারে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রিসভায় সুন্নি সদস্যেরও অভাব রয়েছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সুন্নিরা সংখ্যায় ১০ শতাংশ।
পিডিএসও/রিহাব