reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মিয়ানমার উপকূলে ভেসে থাকা জাহাজের রহস্যভেদ

মিয়ানমার ‍উপকূলে মারতাবান উপসাগরে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ভাসতে থাকা জাহাজটির রহস্যভেদ করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। তারা বলছে, ভাঙার জন্য বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে নেওয়ার সময় টাগবোট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল জাহাজটি।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের জেলেরা উপকূল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে জাহাজটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নৌ বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’ নামের ওই জাহাজে গিয়ে অনুসন্ধান চালান। ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী বিশাল ওই জাহাজে কোনো নাবিক বা পণ্য না থাকায় তৈরি হয় রহস্য।

কনটেইনার পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত এ জাহাজের সর্বশেষ অবস্থান রেকর্ড করা হয় ২০০৯ সালে, তাইওয়ান উপকূলে। নয় বছর পর ওই জাহাজ কীভাবে ইয়াঙ্গন উপকূলে আবির্ভূত হল—সেই প্রশ্নে রহস্য ঘনীভূত হয়।

জাহাজটির গলুইয়ের দিকে দুটি ছেঁড়া কেবল পাওয়ার পর মিয়ানমারের নৌবাহিনী শনিবার জানায়, অন্য কোনো জাহাজ স্যাম রাতুলাঙ্গিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছে। পরে মিয়ানমার উপকূল থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে একটি টাগবোট খুঁজে পায় নৌবাহিনী।

'ইনডিপেনডেন্স' নামে ইন্দোনেশীয় ওই টাগবোটের ১৩ নাবিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পারে, গত ১৩ অগাস্ট থেকে স্যাম রাতুলাঙ্গিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তাদের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। পরিত্যক্ত ঘোষিত জাহাজটি সেখানে ভাঙার কথা ছিল।

কিন্তু গত সপ্তাহে ঝড়ের কবলে পড়ে কেবল ছিঁড়ে গেলে কন্টেইনার জাহাজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন ইনডিপেনডেন্সের নাবিকরা স্যাম রাতুলাঙ্গিকে সেখানে ফেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিয়ানমারের পত্রিকা ইলেভেন মিয়ানমারের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টাগ বোটটির মালিক একজন মালয়েশীয়।

দুটো জাহাজই এখন মিয়ানমারের নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মিয়ানমার,জাহাজ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close