গ্রিসে দাবানলে নিহত ২৪, জরুরি অবস্থা জারি
গ্রিসে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। পরিস্থিতির মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহায়তাও চেয়েছে তারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে হাজার হাজার দমকলকর্মীর লড়াইয়ের মধ্যেই রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি অনেক এলাকার লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতিকে ভয়াবহ জটিল হিসেবে অভিহিত করেছেন দমকলকর্মীরাও।
দাবানলের মধ্যে নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়া ১০ পর্যটককে খুঁজতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি সমন্বয়ে সহায়তা করতে বসনিয়া সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি সিপারাস। ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে মানুষের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, তার সবই করবো আমরা,’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রিস জানাকাপৌলোস দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। জানাকাপৌলোস শতাধিক আহতের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৬টি শিশুও আছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবানলের কারণে ধ্বসে পড়া ভবন, কমলা ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া আকাশ এবং গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়া মানুষের নাটকীয় সব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের আগুনের হাত থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে সমুদ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে জরুরি বিভাগের সব কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপারাস। এথেন্সের আশপাশের অ্যাটিকা অঞ্চলজুড়ে জরুরি অবস্থাও জারি করেছেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছে হেলিকপ্টার ও অতিরিক্ত দমকলকর্মী চেয়েছে গ্রিসের সরকার। অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইতালি, জার্মানি, পোল্যান্ড ও ফ্রান্স এরই মধ্যে অতিরিক্ত বিমান, যানবাহন ও দমকলকর্মী পাঠিয়েছে।
তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দমকলকর্মীদের দাবানল নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এথেন্সের কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একইদিন হলিডে ক্যাম্পগুলো থেকে কয়েকশ শিশুকেও সরিয়ে নেয়া হয়।
পিডিএসও/হেলাল