জাপানে শুরু হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি মেলা জাপান আইটি উইক। এই আইটি উইকে বাংলাদেশের ২৪টি আইটি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই আইটি মেলা চলবে ১০ মে পর্যন্ত।

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বৃহস্পতিবার সকালে মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন এবং বাংলাদেশ থেকে আগত আইটি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তিনি তাদের যে কোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

পরে মেলার ভেন্যু টোকিও বিগ সাইটে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক জাপানি আইটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনার স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশের আইটি খাতে জাপানি ব্যবসায়ীদের অধিকতর বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাত বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে তথা সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর এ জন্য বাংলাদেশ সরকার এই খাতের উন্নয়নে নানাবিধ প্রণোদনা প্রদান করছে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব হোসনে আরা বেগম, বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান ও বাংলাদেশ-জাপান আইটি ইনকরপোরেশনের ইয়াশুহিরো আকাশি।

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস)। সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে জাইকা, জেট্রো, ইউনিডো, জাপানের ইনফরমেশন টেকনোলজি প্রমোশন এজেন্সি ও কম্পিউটার সফটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন অব জাপানসহ অন্য সহযোগী সংগঠন।

এ ছাড়া টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে জাপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসা প্রসার ও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার টোকিওর ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিটুবি সভা। দুই দেশের আইটি ব্যবসায়ীদের প্রথম সভাটি হয়েছিল ২০১৫ সালে। এবারের সভায় বাংলাদেশি ২০টি ও জাপানিজ ২৪টি কোম্পানি ব্যবসা স্থাপনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।

পিডিএসও/তাজ