reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৯ মে, ২০১৯

‘ক্ষণিকের আনন্দের জন্য আমি সব হারাচ্ছি’

‘আমার সব পরিকল্পনা চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে। স্বপ্ন দেখি সফল নায়িকা হওয়ার। অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মনে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই’- নবাগত নায়িকা পুষ্পিতা পপির কণ্ঠে এমন কথাগুলো একটা সময় প্রায়ই শোনা গেছে। তবে বছর কয়েক ধরে মিডিয়া থেকে আড়ালে আছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমায় আর অভিনয় করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাকি জীবনটা তিনি এবাদত বন্দেগি করেই কাটাতে চান।

এদিকে, সম্প্রতি পুষ্পিতা পপি অভিনীত ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’ ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু পরিচালিত এই ছবিতে পুষ্পিতা পপির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ। আর ছবির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াৎ।

ছবি প্রসঙ্গে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘২০১৫ সালের প্রথম দিকে এই ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। শুরুতে এই ছবির নাম ছিল ‘বিধ্বস্ত’। পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ’। শুনেছি, ঈদের পরপরই এটি মুক্তি দেওয়া হবে। নিজেকে আর আমি পর্দায় দেখতে চাই না। বাকি জীবনটা আল্লাহর পথে হাঁটতে চাই।’

আপনার অভিনীত কয়েকটি ছবির কাজ তো এখনও অসমাপ্ত আছে। সেগুলোর কি হবে- জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার অভিনীত তিনটি ছবির কাজ অসমাপ্ত আছে। এগুলো হলো- ঠোকর, প্রেম হতেই পারে ও ফাগুনের আগুন। অভিনয় ছাড়ার আগে বারবার নির্মাতাদের বলেছি, কাজগুলো শেষ করতে। কিন্তু তারা তা করেনি। আমি আর অভিনয় করবো না। এটা নির্মাতারা খুব ভলো করেই জানেন।’

মুক্তি অপেক্ষায় আপনার আর কোনো ছবি আছে? উত্তরে পুষ্পিতা পপি বলেন, ‘না, “গার্মেন্টস শ্রমিক জিন্দাবাদ” এটাই হতে যাচ্ছে আমার শেষ ছবি। যেসব ছবির কাজ শেষ করেছি, সেগুলো ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে।’

‘অভিনয়ে আমার পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সুবাদে অভিনয়ের ভুবনে পা রাখি। প্রথম ছবিতে আমি সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করি। এরপর নির্মাতা মমতাজুর রহমান আকবর স্যারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার “আগে যদি জানতাম তুই হবি পর” ছবিতে নায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু। ছবিটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে। অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে ছবির কাজ করেছি প্রায় ১১টার মতো। গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘ধূসর কুয়াশা’ ছবিটি। অভিনয়ে পা রাখার পরও আমি কিন্তু নিয়মিত নামাজ পরতাম, জিকির আসকার করতাম। এটা সিনেমার অনেকেই জানেন। অভিনয়ে থাকাকালীন বারবার মনে হয়েছিল, ক্ষণিকের আনন্দের জন্য আমি সব হারাচ্ছি। আমার মধ্যে সে বুঝটা চলে আসে। ছবির ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, বেশ কিছু ভালো ও গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছি। ভারতের দু’জন জনপ্রিয় নির্মাতাও, তাদের ছবিতে আমাকে কাজ করার প্রস্তাব দেন’ বললেন পুষ্পিতা পপি।

বর্তমানে পুষ্পিতা পপি অন্য একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। দু’বেলা দু’মুঠো সৎ উপার্জন দিয়ে, বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান এক সময়ের পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ক্ষণিকের আনন্দ,হারাচ্ছি,পুষ্পিতা পপি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close