রাবি প্রতিনিধি

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

প্রতিষ্ঠার পর থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্দির নেই রুয়েটে!

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নেই কোন মন্দির। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের একটি কক্ষে কোনরকমে চলছে মন্দিরের কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, রুয়েট বর্তমানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রায় সাড়ে পাচঁশ শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৩০ জন শিক্ষক রয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অব্যাহত দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মর্তুজা আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ৪০৪ নাম্বার কক্ষটি মন্দির হিসাবে ব্যবহার করার জন্য বরাদ্দ দেন। তখন থেকে ওই কক্ষেই চলছে মন্দিরের কার্যক্রম।

রুয়েট সূত্রে জানা যায়, পূজা উদযাপন পরিষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ মন্দির নির্মাণের জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরকে জায়গা নির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, রুয়েটে পূর্ণাঙ্গ মন্দির নির্মাণের জন্য অনেক আগে থেকে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান হলের ভেতরে একটি কক্ষ মন্দিরের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত এত ছোট একটি কক্ষে পূজা পরিচালনা করা কষ্টকর। মন্দিরের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায়ও সমস্যা হয়। তাছাড়া আবাসিক হলের ভেতরে মন্দিরের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হয়।

আবেদনের বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর সাহা বলেন, ‘মন্দিরের নির্মাণের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে একটি জায়গা চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা বরাদ্দ দিলে মন্দিরের অবকাঠামো নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ করব।’

অব্যাহত দাবির অংশ হিসাবে গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রুয়েট সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন পরিষদ মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ২ হাজার বর্গফুটের একটি জায়গা বরাদ্ধের দাবি জানানো হয়। মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি স্থানও এতে সুপারিশ করা হয়।

রুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ বলেন, ‘মন্দির নির্মাণের ব্যাপারে কথা বলতে তারা আমার কাছে এসেছিল। মন্দিরের জন্য জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে এ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব।’

পিডিএসও/রানা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পূর্ণাঙ্গ মন্দির
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist