কোটা বাতিলের গেজেট না হলে ফের আন্দোলন
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঘোষণা চলতি মাসের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করা না হলে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দুই-তিনদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরী হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
এ সময় আরো জানানো হয়, দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ৩০ এপ্রিল শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করা হয় আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে।
ঢাবির ভিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের চিহিৃত করে তাদের নাম উল্লেখ করে মামলা করার দাবি জানান। এ ছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ভুল খবর প্রকাশ করায় আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পত্রিকা বর্জন করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ৮ এপ্রিল সারা দেশেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের পক্ষে মত দেন। এই ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারী।
পিডিএসও/তাজ