২ দিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি, নয়তো ফের আন্দোলন
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হয়েছে, তা আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে আবার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময়ের মধ্যে এ দাবি পূরণ না করা হলে ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনকারী ও নেতাদের হযরানি করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে উপাচার্যের বাসায় হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, একটি কুচক্রিমহল আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ছাত্র সমাজের ক্ষোভের কথা বুঝতে পেরে দাবি মেনে নিয়েছেন তখন একটি মহল এটি বানচালের চেষ্টা করছে। আমাদের যারা বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন তারা আওয়ামী লীগ ও সরকারকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন বলে জানান ।
এ ছাড়া গত সোমবার দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয়েও আপত্তি তোলা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। ‘কোটা আন্দোলনের সেই চার নেতার একজন শিবিরের সক্রিয় কর্মী’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে বক্তরা বলেন, ‘ইত্তেফাক বিকেল ৫টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে কাল থেকে সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাজ পত্রিকাটি বর্জন করবে।’
পারিবারিক পরিচয় তুলে ধরে বক্তরা নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলেও দাবি করেন। তারা বলেন, আমরা কোনো বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
পিডিএসও/তাজ