শাহ্জাহান সাজু
ঢাবি বিকল্প প্রকল্পের গাড়ি উধাও!
এনবিআরকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ মন্ত্রিপরিষদের
১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘বিকল্প প্রকল্পের’ আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করে তা বেশ কিছু ছাত্রের মধ্যে বিতরণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষিত বেকারদের কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। কিন্তু প্রকল্পের গাড়িগুলো চার থেকে পাঁচ বছর রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। পরে গাড়িগুলো চলে যায় ব্যক্তিগত মালিকানায়। কিন্তু বর্তমানে গাড়িগুলোর হদিসই মিলছে না। উধাও হয়ে গেছে। সরকারের কোষাগারেও আসেনি রাজস্ব। তবে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গাড়িগুলোর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলে টনকনড়ে এনবিআরের। এখন গাড়িগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে সংস্থাটি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বিকল্প প্রকল্পের আওতায় গাড়ির বরাদ্দ গ্রহণ করে অনেকেই এসব গাড়ি ব্যক্তিগত হিসেবে ব্যবহার করে কর ফাঁকি দিচ্ছেন।’
এ বিষয়ে এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, দীর্ঘদিন আগে এগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করে তা কয়েক ছাত্রের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি দীর্ঘদিনের হওয়ায় হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, ১৯৮৬ সালে বিকল্প প্রকল্পের গাড়িগুলোর শুধু চেসিস ও ইঞ্জিন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছিল। দেশে এনে সেগুলোর বডি সংযোজন করা হয়েছিল।
এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রিভিলেজড পারসনের শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের দায়ে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও (প্রাক্তন ইউএনডিপি) এক কর্মকর্তার ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। এছাড়াও এক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। সংস্থাটির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৭ সালে সাঁড়াশি অভিযানের প্রেক্ষিতে আটক হয় ৩৯ গাড়ি। ২০১৬ সালে এ রকম অন্তত ৪০টিরও বেশি গাড়ি আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
পিডিএসও/হেলাল