নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ঐতিহাসিক আমতলা সংরক্ষণের উদ্যোগ

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তৎকালীন ছাত্রসমাজ আমতলা থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে (এখনকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেট এলাকা) মিছিল বের করে। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত আমতলার সেই ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণের বর্তমান চিত্র বড়ই করুণ। অবৈধ দখল আর হকারদের কবলে পড়ে এর অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। তবে এটি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢামেক হাসপাতাল। আর ডাকসু সংগ্রহশালায় থাকা ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন নিদর্শন আরো সমৃদ্ধ করতে নির্বাচিত নতুন ডাকসু উদ্যোগ নেবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

আমগাছটি নেই, জায়গাটিও বদলে গেছে অনেক। ১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ ঐতিহাসিক আমতলা থেকেই ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল শুরু করেছিল ছাত্রসমাজ।

আমতলা ফটকের সামনেই চলে ভাষা সংগ্রামীদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি। শহীদ হন রফিক, শফিক জব্বারসহ আরো অনেকে। তাদের আত্মত্যাগেই বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। যে ভবনটির লাগোয়া তখনকার আমতলা, সেটি তখন ছিল ঢাবির কলা ভবন, এখন ঢামেক হাসপাতাল। দেরিতে হলেও ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার আমতলার ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণটি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।

ডাকসু সাবেক কোষাধ্যক্ষ বেলায়েত জানান, যে আমগাছটির কারণে ওই জায়গার নাম ছিল আমতলা, সেই আম গাছের গুঁড়িটি রাখা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সংগ্রহশালায়। কালের সাক্ষী হয়ে সংগ্রহশালাটিতে আছে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন নিদর্শন।

ইতিহাসবিদরা বলছেন, ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো সংরক্ষণ করা না গেলে গৌরবের ইতিহাস জানতে পারবে না নতুন প্রজন্ম। ঐতিহাসিক আমতলা ঠিকমতো সংরক্ষণের পাশাপাশি ডাকসু সংগ্রহশালাটিও সমৃদ্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আমতলা সংরক্ষণ,২১ ফেব্রুয়ারি,ভাষা আন্দোলন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close