বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিক পরিচয়ে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উপজেলার রিধইল গ্রামের মাসুদ রানা ও মামুন আহমেদ নামের দুই ভাই স্থানীয় বাসিন্দাদের উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে বলে অভিযোগ করা হয়।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আয়নাল হক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পূর্বপাড়ার বাসিন্দা শাহজাহান আলী, মিজানুর রহমান, কচুগাড়ীর বাসিন্দা ফজলুর রহমান, কলেজপাড়ার বাসিন্দা আজমীর হোসেন, ওমরপুর এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ আলী ও আনিছুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এক দিকে সত্যের পক্ষের সাংবাদিকরা বাস্তবতা তুলে ধরে সংবাদ করছেন, আর অন্য দিকে টাকার বিনিময়ে রিধইল গ্রামের মাসুদ রানা ও মামুন আহমেদ নামের দুই ভাই দুর্নীতিবাজদের পক্ষে থেকে স্থানীয় নিরীহ লোকজনকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা ভুয়া পরিচয় বহন করা হলুদ সাংবাদিক। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভয় দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, মাসুদ ও মামুন প্রতিদিন থানায় কোনো ব্যাপারে অভিযোগ পেলেই একটি পক্ষের টাকার বিনিমিয়ে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে ভূঁইফোর পত্রিকা, অনিবন্ধিত অনলাইন এবং ফেসবুকে অপপ্রচার করে।

আয়নাল হক আরো বলেন, নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজে অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্য করা দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতি কামরুল হাসান সবুজ ও বিধি বহির্ভূতভাবে অধ্যক্ষ হওয়া মাহবুবুর রশিদ তোতা মিয়ার অপসারণ দাবিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। সেখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে মাসুদ ও মামুন নামের দুই সাংবাদিক। তারা গত ৩ মার্চ মানসিক ভারসাম্যহীন দুই ব্যক্তিকে দুইশো টাকার বিনিময়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে কলেজের মানববন্ধনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রিধইল গ্রামের মাসুদ ও মামুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাদের সাড়া মেলেনি।

পিডিএস/আরডি