সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
সুন্দরগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পরও উঠান বৈঠক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায়। বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিনে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই হিসেবে গত শুক্রবার সকাল ৮টার পরে কোনো প্রার্থী আর জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু তার পরও জাপার লাঙলের পক্ষে তিন তিনটি উঠোন বৈঠক করেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়ন পল্লীবন্ধু পরিষদের সভাপতি মাসুদ মিয়া।
জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাঙলে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের উৎসাহিত করতে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের লাটশালা, নিজামখাঁ ও ঘগোয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিন তিনটি উঠোন বৈঠক করেছেন ওই নেতা। ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লাটশালা চরের উঠোন বৈঠকে উপস্থিত ভোটারদের সামনে ওয়ার্ড সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মাসুদ বলেন, এখানকার মানুষের এক কথা। ব্যারিস্টারকে ভোট দেব। আমি মাসুদ এখানে বলে গেলাম, ব্যারিস্টার যদি এমপি হয়। তাহলে তাকে বলব, চৈতন্য বাজার থেকে পাওয়ার প্লান্ট এবং চৈতন্য বাজার থেকে চরখোদ্দা সেতু দুইটা করে দেবেন। জানতে চাইলে পল্লীবন্ধু পরিষদের ওই সভাপতি বলেন, ওই জায়গায় উঠোন বৈঠক করা হয়নি তো তাই করেছি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ রসুল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
পিডিএস/জেডকে