শাহ আলম, খুলনা

  ২১ আগস্ট, ২০২২

খুলনায় খামারিদের লোকসান, ক্রেতাদের অস্বস্তি

ফাইল ছবি

খুলনায় সব ধরনের পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিম এবং মুরগীর মূল্যও ঊর্দ্ধমুখী। ফলে একদিকে লোকসানের মুখে পড়েছেন সাধারণ খামারি, অন্যদিকে কিনতে বাজারে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ ক্রেতাদের। তারা আছেন অস্বিস্তিতে। পোল্ট্রি’র বাজার হয়ে উঠেছে বেশামাল, বিরাজ করছে এক ধরণের নৈরাজ্য।

খামারিরা জানিয়েছেন, ৫০ কেজি ওজনের প্রতি প্যাকেট পোল্ট্রি খাবারের দাম বেড়েছে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকা। একইভাবে বয়লার মুরগীর খাবারের দাম ৪৫০ টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ হাজার ২শ’ টাকা, কক মুরগীর খাবারের দাম ৩শ’ টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে ২ হাজার ৯৫০ টাকা, লেয়ার মুরগীর খাবারের দাম ২৫০ টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ টাকা।

অন্যদিকে, একদিন বয়সের বয়লারের বাচ্চার দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮-৩২ টাকা, কক মুরগীর বাচ্চার দাম ১৫-১৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯-২০ টাকা, লেয়ার মুরগীর বাচ্চা ২২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা।

পোল্ট্রে সামগ্রীর দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধির হতাশা প্রকাশ করে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই কষ্টকর হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন, খুলনা পোল্ট্রি ফিড দোকান মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মো. নূরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, খাবারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পোল্ট্রি খামারি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ খামারিরা পথে বসার উপক্রম হবে বলেও আশংকা করছেন তিনি।

সিনা পোল্ট্রির মালিক দুলাল হোসেন বলেন, এভাবে প্রতিটি খাবারের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে পোল্ট্রি ওষুধের দামও লাগামহীনভাবে বেড়েছে। সব মিলিয়ে এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন কস্টকর হয়ে পড়ছে। ব্যবসা চালিয়ে রাখতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারমত খুলনায় দু’ সহস্রাধিক খামারি একই সংকটের মুখে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে, নগরীতে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির বাজার বেশ চড়া। প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুরগীর দাম। গত দু’দিনে মুরগীর দাম অতিরিক্ত বাড়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুলনা নগরীর পাইকারি আড়ৎতে মুরগী প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকার মধ্যে। আর মাস খানেক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। পাশাপাশি বেড়েছে সোনালী ও লাল কক মুরগির দামও। এগুলো প্রতি পিছে ২০-৩০ টাকা করে দাম বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে। মুরগীর দাম বাড়ার কারণে অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

অতিরিক্ত দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় খামারিরা তাদের খামারে মুরগী না উঠানোর কারণে বাজারে মুরগী সংকট দেখা দিয়েছে।

তবে খামারিরা বলছেন, বড় কোম্পানীতে মুরগীর বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়ানোর কারণে সেডে মুরগি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ক্রেতাদের অস্বস্তি,খুলনা,খামারিদের লোকসান
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close