কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

  ১০ মে, ২০২২

ট্রিপল হত্যা মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু ও ৮ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর আগের কুষ্টিয়ার একটি আলোচিত ট্রিপল হত্যা মামলায় ৩ আসামির আমৃত্যু এবং ৮ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১২ টার দিকে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন চরমপন্থি বাহিনীর সক্রিয় সদস্য।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট রাতে সদর উপজেলার ভবানীপুরের আকবর আলীর ছেলে কাইয়ুম, আইউব আলী এবং সামসুজ্জামানসহ তিনজনের মাথা কেটে কুষ্টিয়া শহরের গণপূর্ত অফিসের গেটের সামনে ২ জনের ও ইবি থানা গেটের সামনে আরও ১ জনের মাথা ঝুলিয়ে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে পুলিশ এসে ওই তিনজনের কাটা মাথা উদ্ধার করে এবং ইবি থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রাম থেকে মস্তকবিহীন ওই তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তাদের সনাক্ত করে।

ওই ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি শুধু কুষ্টিয়া জেলা নয় সারা দেশব্যাপী একটি আলোচিত হত্যাকাণ্ড ছিলো। টেন্ডারবাজী এবং টেন্ডারের দখল নেওয়া জন্যই মূলত চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে।

তিনি বলেন, এই মামলায় ৩ আসামির আমৃত্যু এবং ৮ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে কয়েকজন আসামি মারা গেছেন বলেও তিনি জানান।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যাবজ্জীবন দণ্ড,ট্রিপল হত্যা মামলা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close