রাজশাহী ব্যুরো

  ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯

রাজশাহীতে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে জনজীবন স্থবির

গত এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। দিনের বেলাতেও সূর্যের উত্তাপ না ছড়ানোয় কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। এভাবে আরো এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তারা আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বাড়ছে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নবজাতক শিশুর সংখ্যা। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীরাও।

তাপমাত্রা কমতে থাকায় পদ্মাপাড়ের ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে। উত্তরের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকালে ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে ভোরের সূর্যের দেখা মিললেও থাকছে না উত্তাপ। সন্ধ্যায় খোলা আকাশের নিচে থাকা শীতার্ত মানুষগুলোর শরীরে উষ্ণতা ছড়াতে খড়কুটো জ্বালাতে হচ্ছে। ভীড় বেড়েছে শীতের পোশাক বিক্রির দোকানগুলোতে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভীড় করছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, রাজশাহীতে এখন দিনের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে বিরাজ করছে। শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত ২৯ ডিসেম্বর চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামী কয়েকদিন রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাসহ শৈত্যপ্রবাহ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আজিজুল হক জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় সব বয়সের মানুষ ঠাণ্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ঠাণ্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

পিডিএসও/অপূর্ব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাজশাহী,শৈত্যপ্রবাহ,জনজীবন,স্থবির
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close