reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ মার্চ, ২০২৪

আবারও ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবেন খলিল

প্রতিবছরই বিশেষ করে রমজানে আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করেন। তবে এবার চারদিন আগে গরুর মাংস কেজিতে ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেন। কারণ জানিয়েছিলেন,‘চাপে পড়ে দাম বাড়াতে হয়েছে।’

তবে দাম বাড়ানোর চারদিনের মাথায় আবারও কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের এই আলোচিত মাংস বিক্রেতা। ২০ রোজা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন খলিল।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার খলিলুর রহমান মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রেক্ষাপটে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খলিলুর রহমান বলেন, আমি কথা দিয়েছিলাম রোজায় এই দামে (৫৯৫ টাকা কেজি) মাংস বিক্রি করব। তবে পরে গরু দাম বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দাম বাড়িয়েছিলাম। এতে নানা প্রতিক্রিয়া এসেছে। এখন আগের কথায় ফিরে গেলাম। ২০ রোজা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করব। তবে প্রতিদিন ২০টির বেশি গরু জবাই দেব না। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করা হবে। এরপর থেকে দোকান বন্ধ থাকবে।

খলিলুর রহমান ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল ও পুরান ঢাকার নয়ন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তারাও সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দামে মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।

মিরপুরের মাংস ব্যবসায়ী উজ্জ্বল বলেন, রমজানে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। এখন গরুর দাম বেশি পড়ছে। এর ফলে কেজিতে ৩৫ টাকা বাড়াতে হয়েছে। তবে রমজানের বাকি দিনগুলোতে ৬৩০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করব। এটি সরকারি দামের চেয়ে এখনও কম। আশা করি, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

পুরান ঢাকায় নয়ন আহমেদ বলেন, আমি মিক্সড (হাড় ও চর্বিসহ অন্যান্য অংশ) গরুর মাংস ৫৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। তবে একটু বাছাই করা মাংস বিক্রি করি ৬৫০ টাকায়। কিন্তু বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বেশি দাম গরু কিনছে। সেজন্য আমাকেও গরু কিনতে হয় বাড়তি দামে। ফলে এই কম দামে মাংস বিক্রি করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও রমজানের বাকি দিনগুলোতে এই দামেই বিক্রি করব।

সংবাদ সম্মেলনে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এসব ব্যবসায়ীর ব্যবসার প্রচারণা কিংবা তাদের চাপ দিয়ে এখানে নিয়ে আসা হয়নি। তারা গরুর মাংসের বাজারে বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। এখন নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথাগুলো শুনতে ডাকা হয়েছে। কত দামে মাংস বিক্রি করবেন সেটা তারা নিজেরাই নির্ধারণ করবেন। কারণ, ব্যবসা তাদের। লাভ-লোকসানের হিসাবও তাদের।

তিনি আরও বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ব্যবসায়ীর জন্য বার্তা স্পষ্ট, কৃষি বিপণনের নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করতে হবে। এই তিন ব্যবসায়ী পারলে, সেটা সবার পক্ষে সম্ভব। এ তিন ব্যবসায়ী ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, সব ব্যবসায়ীকে একইভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close