কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ রাহাত উদ্দিনকে বদলি করা হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বদলি করা হয়েছে রাহাতকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে প্রধান কার্যালয়ের আইটি অপারেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে সরিয়ে মতিঝিল কার্যালয়ে দেওয়া হয় রাহাতকে।

জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সিআইডির চোখে অন্যতম সন্দেহভাজন রাহাত উদ্দিন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সহকারী মুখপাত্র আনোয়ারুল ইসলাম। তবে জানান, ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাকে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগ-১-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সাঈদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আদেশে রাহাত উদ্দিনকে বদলি করা হয়। একই সঙ্গে মতিঝিল অফিসের সিনিয়র সিস্টেমস অ্যানালিস্ট নাসরিন সুলতানাকে আইটি অপারেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্টে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে বদলি করা হলেও রাহাত উদ্দিনকে সিআইডির চলমান রিজার্ভ হ্যাকিং সংক্রান্ত তদন্তকাজে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে আদেশে।

উল্লেখ, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে নিউইয়র্ক ফেড থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি করা প্রায় ১০ কোটি ডলারের মধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ রিজল ব্যাংকের একটি শাখা হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। ঘটনার ৪০ দিন পর ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যুগ্ম পরিচালক যোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন।

মামলার তদন্তে ২৫ সদস্যের একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছেন কি না, তা বের করতে প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদসহ কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। বিভিন্ন সময় সিআইডির সন্দেহভাজন তালিকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত আইনগত কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

"