নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদ্যুৎ খরচ বাড়লে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে
ডিসিসিআইয়ের মত
বিদ্যুতের পুনরায় মূল্যবৃদ্ধি করা হলে উৎপাদনমুখী শিল্পে ব্যয় বাড়বে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ। গতকাল রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত সাড়ে সাত বছরে খুচরা পর্যায়ে সাতবার ও পাইকারিতে পাঁচবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পর বিতরণ কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৬ শতাংশের বেশি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে আজ সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে ডিসিসিআই বলছে, বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ, রপ্তানি সক্ষমতা, শিল্প বহুমুখীকরণ ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যা কিনা বিশেষ করে দেশের ক্রমবিকাশমান এসএমই খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সিস্টেম লস আরও হ্রাস করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রমে বেসরকারিখাতকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। জ্বালানি মনিটরিং কমিটি করার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে বিদ্যুতের ট্যারিফ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং সকল সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে একটি ‘জ্বালানি মনিটরিং কমিটি’ গঠনসহ দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে করে ভবিষ্যতে সকলের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্মত নির্ভরযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা যায়।
"