নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৫ জুলাই, ২০২০

সাবরিনা ও আরিফুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ

জেকেজি হেলথকেয়ার ও ওভাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিএফও) আরিফুল চৌধুরীসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য বিএফআইইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএফআইইউ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জেকেজি হেলথকেয়ার ও ওভাল গ্রুপর চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেন এবং এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরী এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব ব্যাংক হিসাব ৩০ দিনের জন্য জব্দ থাকবে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর-(২৩)(১)(গ) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ দেওয়া হলো। এর আগে গত রোববার তাদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল সাবরিনা-আরিফ দম্পতির জেকেজি প্রতিষ্ঠান। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেওয়া ছিল। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেককে জেকেজির বুথের ঠিকানা দেওয়া হতো। এভাবে কর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করত। পরে তাদের গুলশানের একটি ভবনের ১৫তলার অফিসের একটি ল্যাপটপ থেকে ভুয়া সনদ দিত। ওই ল্যাপটপ থেকে জেকেজির কর্মীরা রাতদিন শুধু জাল রিপোর্ট তৈরির কাজ করত। প্রতিটি সনদের জন্য নেওয়া হতো ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিদেশিদের কাছ থেকে নেওয়া হত ১০০ ডলার। যদিও শর্ত ছিল বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ল্যাবে পাঠাতে হবে। কিন্তু তারা সব ধরনের শর্তভঙ্গ করে পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দিত।

গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু আমাদের জানায়, সে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করত। এই ভয়ানক তথ্য জানার পর আমরা তাকে জিজ্ঞেস করি এর সঙ্গে কারা জড়িত। সে স্বীকার করেছে, কোর্টেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে যে ভুয়া রিপোর্টের সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close