নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

দাম কমিয়েও বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ

তরমুজ ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত। দাম কমিয়েও বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ। ঢাকার মিরপুরের আড়তগুলোয়ও কমে গেছে তরমুজের বিক্রি। বিক্রেতাদের আশা তীব্র গরমের এ সময়ে বিক্রি হয়তো কিছুটা বাড়বে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তরমুজের বাজারের বেহাল দশার জন্য মূলত দায়ী খুচরা বিক্রেতারা। কারণ, ফলটি বাজারে আসতে না আসতেই ক্রেতাদের জিম্মি করেছিলেন খুচরা বিক্রেতারা।

ভরা মৌসুমেও অনেকটাই খালি মিরপুরের তরমুজের আড়ত। রোজা আর তীব্র গরমের এ সময়ে তরমুজের মতো রসালো ফলের বিক্রিটা ভালোই হওয়ার কথা। কিন্তু রোজার শেষ সপ্তায়ও আড়তের চিত্র ঠিক উল্টো। যদিও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি দাম এখন কিছুটা বেড়েছে।

এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজার শুরুতে তরমুজের উৎপাদন ব্যাপক হারে হয়নি। রোজা যাদ এক মাস পরে হতো তাহলে বাজারে তরমুজ বেশি থাকতো। ঠিকমতো পাকার আগেই অনেকে কেটে এনেছে। বেশি পয়সা পাওয়ার জন্য। এতে ক্রেতা ঠকেছে। তরমুজ খাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে।

রোজার প্রথম সপ্তাহে রীতিমতো ক্রেতাদের জিম্মি করে ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন অসৎ ব্যবসায়ীরা। তরমুজ কেনা বন্ধ করে জবাব দিয়েছেন ক্রেতারাও। আছে কৃষক পর্যায়ে কিছু চাঁদাবাজির অভিযোগও।

আরেক ব্যবসায়ী বলেছেন, যারা ফেরি করে বিক্রি করেন তারা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন। আড়ৎদারের এখানে কোনো হাত নেই। আমরা এখনো ১০০ পিস হিসেবে বিক্রি করছি। ৬০ টাকা পিস পড়ছে। দোকানদারা কেজি হিসেবে বিক্রি করছে। আমাদের কিছু করার নেই।

আড়তের ব্যবসায়ীরাই স্বীকার করলেন, খুচরা দোকানিদের অতিলোভের পরিণতি ভোগ করছে এবারের তরমুজ ব্যবসা।

ইউসুফ বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী শান্ত ইসলাম বলেন, গোড়ার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ক্ষেতের মাল গায়েব করে ফেলছে। ক্ষেতের থেকে ১০ হাজার তরমুজ কনিবেন। আট হাজারও আনতে পারবেন না। স্থানীয় নেতারা সবাই ঘিরে ধরে। তিন পুরুষ ধরে ফলের পাইকারি ব্যবসা করা এ ব্যবসায়ী স্বীকার করেন তরমুজ নিয়ে এমন তুঘলকি কাণ্ড তিনি আর দেখেননি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close