নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে জামানত ১০ গুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব অস্বাভাবিক

- মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ১০ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল।

গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করছেন, এমন সৎ মানুষগুলো যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সে কারণে নির্বাচন কমিশন জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা বৃদ্ধির যে প্রস্তাব করেছে, তা অস্বাভাবিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত।

শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, নির্বাচন কমিশন সৎ ও যোগ্য মানুষদের বিভিন্নভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রেখে সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও সমাজের অপরাধীদের ইলেকশনের নামে সিলেকশন করার মিশন নিয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির ব্যবহার অতীতে বন্ধ করতে পারেনি। যেসব নির্বাচনে আলোচিত অভিযোগ কমিশনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়ে পত্র চালাচালি হয়েছে, এমন ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দেশবাসী দেখতে পারেনি।

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে দৃষ্টিপাত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে অপ্রয়োজনীয় জামানত বৃদ্ধির বিষয় সামনে এনে নিজেদের কাজ দেখানোর চেষ্টা হাস্যকর ও অযোক্তিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন কালো টাকার মালিক, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, পেশিশক্তির গডফাদার ও অপরাধীদের জনপ্রতিনিধি সিলেকশনের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি দুর্নীতিমুক্ত স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর হয়, তবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত ১০ হাজার টাকা বহাল রাখতে হবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি ও পেশিশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ করতে হবে। অতীতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিষয়ে কি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জনগণকে অবহিত করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close