টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

মুড়িকাটা পেঁয়াজে কৃষকের আয় ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা

মৌসুমের শুরুতেই তেতে ওঠেছিল পেঁয়াজের বাজার। ফলে ভালো দামের আশায় খেতে পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেন অনেক কৃষক। আর মাত্র ৭০ দিনের মাথায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন পান তারা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। এতে লাভবান হয়েছেন কৃষক। এখন এসব জমিতে বোরো ধানের আবাদ শুরু করছেন কৃষক। এছাড়া জলাবদ্ধ জমিতে ভাসমান, ডালি, বস্তা পদ্ধতিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপপরিচালক আ. কাদের সরদার বলেন, রবি মৌসুমে গোপালগঞ্জের কৃষক ৩৫০ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেন। এসব জমিতে মাত্র ৭০ দিনে ৪ হাজার ৫৫০ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। ওই পেঁয়াজের বিক্রি থেকে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা আয় করেছেন কৃষক। এছাড়া বাজারে পেঁয়াজ কলির দামও ভালো ছিল। পেঁয়াজ কলি বিক্রি করেও ভালো টাকা আয় করেছেন তারা।

মুকসুদপুর উপজেলার কদমপুর গ্রামের কৃষক মিলনকান্তি ধর বলেন, এই মৌসুমে পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা পর্যন্ত অতিক্রম করেছিল। আমি আমার ১০০ শতাংশ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করি। প্রতি শতাংশ জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে আমার খরচ হয় ১ হাজার ৬০০ টাকা। শতাংশ প্রতি আমি ৬০ কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন পেয়েছি। প্রথমদিকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। শেষের দিকে ওই পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গড়ে প্রতি শতাংশ জমি থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close