প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
যেসব দেশের স্বর্ণ মজুদ সবচেয়ে বেশি
একটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে স্বর্ণের মজুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আর্থিক অনিশ্চয়তার সময়ে দেশীয় মুদ্রার মূল্য নির্ধারণে একটি নির্ভরযোগ্য আধার হিসেবে কাজ করে। ১৮ শতকের শেষের দিকে বড় পরিসরে স্বর্ণমান বা গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড গৃহীত হয় এবং এটি ১৯ শতকের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। ফোর্বস ম্যাগাজিনের খবরে বলা হয়েছে, যেসব দেশে এ ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, সেসব দেশ তাদের মুদ্রা ও স্বর্ণের নির্দিষ্ট পরিমাণের মধ্যে নির্দিষ্ট বিনিময় হার ঠিক করে কাগজের মুদ্রার মূল্য সোনায় নির্ধারণ করে দেয়।
১৯ শতকের সত্তরের দশকে এ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। তবে অনেক দেশ এখনো সোনার মজুদ করে চলেছে। এ সময়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবান এই ধাতুর মজুদ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও প্রাথমিক নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে সোনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। স্বর্ণের মজুদ একটি দেশের ঋণযোগ্যতা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থানকে প্রভাবিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, এমনকি আধুনিক অর্থনৈতিক দৃশ্যের পরিবর্তন হলেও। ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) শেষে কোনো দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি সোনা মজুদ আছে, সেই হিসাব জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)। সোনার মজুদে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির কাছে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন স্বর্ণ রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটির কাছে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন স্বর্ণ আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকা ইতালি ও ফ্রান্সের কাছে যথাক্রমে ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন ও ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৮৮ টন স্বর্ণ রয়েছে। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রুশ ফেডারেশন। দেশটির কাছে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন স্বর্ণ রয়েছে।
ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চীন, সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। দেশ দুটির কাছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৯১ দশমিক ৫৩ টন ও ১ হাজার ৪০ টন স্বর্ণ রয়েছে। অষ্টম স্থানে থাকা জাপান, নবম স্থানে থাকা ভারত ও দশম স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে যথাক্রমে ৮৪৫ দশমিক ৯৭ টন, ৮০০ দশমিক ৭৮ টন ও ৬১২ দশমিক ৪৫ টন স্বর্ণ রয়েছে। ১১ থেকে ২০ পর্যন্ত তালিকায় রয়েছে- তুরস্ক, তাইওয়ান, উজবেকিস্তান, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, কাজাখস্তান, লেবানন ও স্পেন।
"