ফেনী প্রতিনিধি
‘নুসরাতের হত্যা পরিকল্পিত’
নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত মন্তব্য করে মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহামুদ ফায়জুল কবীর বলেছেন, পুলিশ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সতর্ক হলে এ হত্যাকান্ডটি এড়ানো যেত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে নুসরাতের ওপর অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলটি পরিদর্শন করে ২০ সদস্যের একটি দল।
শুক্রবার সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা পরিদর্শনে যায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানে ২০ সদস্যের দলটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সঙ্গে পিবিআইয়ের কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারক উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশনের সদস্যরা। পুলিশ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সতর্ক ভূমিকা পালন করলে নুসরাতকে মরতে হতো না বলে মন্তব্য করেন তারা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহামুদ ফায়জুল কবীর এ সময় বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার যে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নুসরাতকে ডেকে নিয়েছিলেন। তার কক্ষে অশোভন আচরণ করেন। একজন মেয়ের পক্ষে সম্ভ্রম রক্ষা করে কতটা বলা সম্ভব এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালো বোঝেন। যদি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সচেতন হতেন তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।
এদিকে শোকসন্তপ্ত সোনাগাজীতে শুক্রবারও হয়েছে মানববন্ধন। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা বলেছেন, ১০ তারিখকে নুসরাত দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হোক। আবার অনেকের দাবি ওই মাদরাসার নাম পরিবর্তন করে নুসরাতের নামে করা হোক।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থী নুসরাতকে আরেকটি ভবনে ডেকে নিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় চারজন মুখোশধারী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন গত বুধবার রাতে মারা যায় নুসরাত।
"