বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ২৬ মে, ২০২৪

শার্শায় অভিযোগ

‘মিটার রিডিং’ না দেখেই বিল, গ্রাহকদের ক্ষোভ

অভিযোগেও নেই প্রতিকার * বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ২৬ মে * অথচ ২৫ মেতেও দেওয়া হয়নি বিল

মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও সময়মতো বিল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফুঁঁসে উঠেছে গ্রাহকেরা। প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি যেয়ে মিটার রিডিং না নেওয়া ও সময়মতো বিদ্যুৎ বিল বাড়িতে পৌঁছে না দেওয়াটা তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

বাগআঁচড়ার জামতলা এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ প্রতিমাসের ২৬ তারিখ। অথচ গতকাল শনিবার পর্যন্ত এলাকার কেউই মে মাসের বিলটি হাতে পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

ইয়াসমিন নামের এক বিদ্যুৎ গ্রাহক বলেন, মিটার রিডাররা প্রতিমাসে না এসে মাঝেমধ্যে আসে। সবসময় তারা অনুমাননির্ভর বিল করে থাকে। এতে প্রকৃত বিল দিতে পারি না। বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মিটার রিডাররা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটারের বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন। সেই রিডিং থেকে আগের মাসের প্রাপ্ত রিডিং বাদ দিলেই এই মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায়। সেগুলো বিভিন্ন স্ল্যাব অনুযায়ী হিসাব করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয়ে থাকে।

সামটা গ্রামের সেলিম রেজা বলেন, এদের পলিসিটা হলো- এরা দু-চার মাস প্রকৃত বিলের চাইতে ইউনিট কম লেখে। বিশেষ করে জুন ও ডিসেম্বরে প্রকৃত ইউনিট দিয়ে বিল করে তাতে এদের লাভ হচ্ছে বেশি ইউনিটে রেট বেশি পাওয়া যায়।

জামতলা জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, গত মাসে (এপ্রিল) জামতলা জামে মসজিদের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ ওরা দেয়নি। অথচ তাদের জরিমানা দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

একই কথা বলেন সোহেল রানা। তিনি আরো বলেন, মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেখে বিল দিলাম। এখনো এ মাসের (মে) বিলের কাগজ পাইনি।

বাগআঁচড়ার গোলাম রব্বানী বলেন, ওরা আমার মিটারের রিডিং না দেখে বিল করেছে ১২ হাজার ৭৩৮ টাকা। এ ব্যাপারে অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলছে, এসি চলে তাই অতিরিক্ত বিল এসেছে। অথচ আমার বাড়ি কোনো এসি নেই।

টেংরা গ্রামের শামীম আহমেদ বলেন, গত মাসে এক দিন আগে বিলের কাগজ পাইছি। বিদ্যুৎ অফিসের লোকেদের গ্রামে কিছু দালাল (ইলেকট্রিশিয়ান) আছে যাদের কাছে বিদ্যুৎ বিলের কপি দিয়ে যায়। এরাই মূলত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়।

বাগআঁচড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম গাজী সোহরাব হোসেনের কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিল রিডিং যারা করেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েই তো বিল রিডিং করে। নতুন বিল রিডার এসেছে। তবে সবকিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close