গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

  ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

গুরুদাসপুর

আ.লীগ নেতার নিয়োগ বাণিজ্য তোপের মুখে বন্ধ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন এবং উৎকোচ নেওয়া পছন্দের প্রার্থীদের ছাড়া অন্যদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের খলিফাপাড়া রেজাউল করিম দাখিল মাদরাসা নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) সুপার পদসহ অন্তত ছয়টি পদে গোপনে নিয়োগ দিতে গেলে তোপেরমুখে নিয়োগ স্থগিত করেছে কমিটি।

অনুসন্ধান বলছে,পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, বোর্ড গঠনসহ নিয়োগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল গোপনীয়তার সঙ্গে। সর্বশেষ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পাশর্^বর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপেরমুখে পড়েন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা। অভিযোগ উঠেছে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়োগের চেষ্টা করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আলী। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।

মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ৬টি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে শূণ্য পদে সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপার, এবতেদায়ি প্রধান, পরিচ্ছন্নকর্মী এবং সৃষ্ট পদে নিরাপত্তা কর্মী ও আয়া পদে আবেদন আহ্বান করা হয়। এতে মোট ৪৯ জন প্রার্থী আবেদন করেন।

সুপারিনটেনডেন্ট পদ নিয়ে গুরুদাসপুরের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী তাছির উদ্দিন। ওই মামলায় ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালত সুপার পদে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।

মামলার বাদী তাছির উদ্দিন বলেন, সুপার পদে নিয়োগদানের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে চুপিসারে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি আরো বলেন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধেও আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলাতেও কমিটির বিরুদ্ধে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) পরিচালক মো. জিয়াউল আহসান বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি তিনি হাতে পাননি। তবে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন এবং আবেদনকারীদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র না দেওয়াসহ বিভিন্ন ত্রুটির কারণে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আখতার বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে পাশের উপজেলায় পরীক্ষার ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছিল। সেখানে তারা নিয়োগ দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান পাননি। তবে নিয়ম মেনেই নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাঁধারমুখে তা স্থগিত করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close