আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ার আদমদীঘি

পাঠাগার আছে পাঠক নেই

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সব কলেজপর্যায়ে পাঠাগার আছে। শত শত বই সেসব পাঠাগারের তাকে সাজানো আছে। সব কলেজে একজন করে লাইব্রেরিয়ান ও সহকারী লাইব্রেরিয়ান থাকলেও সেখানে থাকেন না তেমন পাঠক। এমনই দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার লাইব্রেরিগুলোয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার একমাত্র অনুদানপ্রাপ্ত সান্তাহার পৌর শহরে কবি বন্দে আলী মিঞা স্মৃতি পাঠাগারটি পাঠক শূন্য। কবি বন্দে আলী মিঞার পতিœর সরকারি বাসাতে এই পাঠাগারটি অবস্থিত। তিনি উপজেলার নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা। কবি পতিœ পরি বানু (৯০) অনুদান পান বলে জানালেন কবিপুত্র জাহেদুল হক। কিন্তু পাঠাগার পরিচালনার কোনো লাইব্রেরিয়ান নেই।

জানা গেছে, উপজেলার সব কয়েকটি কলেজ পর্যায়ে পাঠাগার আছে। সেখানে পর্যাপ্ত বইও আছে। তবে অনেক শিক্ষার্থী জানেই না পাঠাগারের ঠিকানা, নিয়মকানুন। খবরের কাগজ রাখা হয় এইসব পাঠাগারে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, লল, দামি-নামি লেখকদের বইও এসব পাঠাগারে আছে। কিন্তু পাঠক নেই এবং ক্রমান্বয়ে পাঠক শুন্য হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন একাধিক লাইব্রেরিয়ান। কিন্তু এসব পাঠাগারে নেই কোনো প্রশাসনিক মনিটরিং। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুটিনে লাইব্রেরি ঘন্টা যুক্ত করার নির্দেশনা জারি করেছে। প্রতিটি শ্রেণিতে সপ্তাহে একটি ক্লাস থাকবে বই পড়ার জন্য।

সান্তাহার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলিম উদ্দিন জানান, প্রযুক্তিবান্ধব তরুণ প্রজন্মকে বইমুখি করতে গ্রন্থাগারগুলিকে আধুনিক করতে হবে। বই তাদের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আদমদীঘি ইউএনও অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মন্টু বলেন, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ ভবনে একটি পাঠাগার থাকলেও সেখানে লাইব্রেরিয়নের নেই। পাঠাগারে বই আছে। বেসরকারি সংস্থা ব্রাক উপজেলায় কিছু লাইব্রেরি পরিচালনা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close