আনোয়ার হোসেন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)

  ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দুরাকুটি ময়দানপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়

স্কুলমাঠে রাস্তা নির্মাণের সামগ্রী বন্ধ খেলাধুলা, ব্যাহত পাঠদান

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ : কাজ আরো এক সপ্তাহ চলবে বলে জানিয়েছে প্রকৌশল অধিদপ্তর * অর্থের বিনিময়ে মাঠ দেওয়ার কথা অস্বীকার প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি ময়দানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ দখল করে রাস্তা নির্মানের উপকরণ ফেলায় এক সপ্তাহ ধরে মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, মিক্সার মেশিনের বিকট শব্দে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং পোড়া দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এ কাজ চলবে আরো এক সপ্তাহ।

জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাহাগিলী ইউনিয়নে উত্তর দুরাকুটি গ্রামের ময়দান পাড়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা সংস্কারের সব উপকরণ ময়দানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফেলে ভরাট করে রেখেছে। আর ২ থেকে ৩ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে না বসে মাঠে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছে। তাদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবাশ্বিরি আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয়ে এসে ঘোরাঘুরি ছাড়া কি করব। মাঠে খেলার জায়গা নেই। মেশিনের শব্দে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদান করছেন না। পোড়া গন্ধে তো থাকাই যাচ্ছে না।’

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ পাশা মিয়াসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারের লোকজন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজোশে মোটা অর্থের বিনিময়ে মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলার অনুমতি দিয়েছে। সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। আবার আগামী এক সপ্তাহ মিস্কার মেশিনের শব্দে পাঠদান বিঘ্নিত হবে।

তবে প্রধান শিক্ষক এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে মাঠ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার আমাকে কোনোকিছু না জানিয়ে হঠাৎ স্কুল মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলেছে।

বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদৌল্লা লিপটন বলেন, ঠিকাদারকে আমার ফাঁকা জমিতে নির্মাণ সামগ্রী ফেলার জন্য বলেছিলাম।

উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঠিকাদার নির্মাণসামগ্রী কোথায় ফেলবে তার দেখার বিষয় নয়। আমার দায়িত্ব ঠিকাদারের কাছে সঠিক কাজ আদায় করা। ঠিকাদারের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, নুর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষককে জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close