নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

‘ভাতার টাকা না লইয়া বাড়িত যাইতামনায়’

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দীঘলবাক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মশিবপুর গ্রামের বিধবা লালমতি বিবি বিধবা-বয়স্ক ভাতা না পেয়ে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমার অনেক বয়স অইছে। আমার সাথের অনেক মানুষ সরকারের ভাতা পাইছইন। আমি কি এই বাংলাদেশের নাগরিক নায়নি। আমাকে ভাতার টাকা দেও। বাক্কা দিন গেছে কম্পিউটারে দরখাস্ত করছি। আজ ভাতার টাকা না লইয়া বাড়িত যাইতামনায়।’

গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে কামারগাঁও বাজারে স্থানীয় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মিসবাউরের কাছে গিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় এমন ক্ষোভের কথা বলেন মতুল মিয়ার স্ত্রী লালমতি বিবি।

একান্ত আলাপে লালমতি বিবি জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিযে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন তিনি। ছেলেরা বিয়ে করে পৃথকভাবে দিন কাটাচ্ছেন। টিনের ঘরে বিধবা মেয়ে নাতি-নাতনিকে নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন লালমতি বিবি। আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার বিত্তশালী লোকজন মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করলেও নুন আনতে পান্তা ফুরায় তার।

ওই গ্রামের এক প্রবীণ বলেন, লালমতি বিবি একজন অসহায় মহিলা। তিনি সরকারের বিধবা-বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য। যেকোনো একটি ভাতায় লালমতি বিবির নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান এলাকার সচেতন মহল।

জানতে চাইলে দুবারের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খালেদ হাসান দুলন বলেন, লালমতি বিবি ওয়েটিং তালিকায় আছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close