আখলাছ আহমেদ প্রিয়, হবিগঞ্জ

  ২০ মার্চ, ২০২৩

ঘোষণা ছাড়াই হবিগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘট

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং ব্যবস্থা ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ নয় দফা দাবিতে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিক সমিতি। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়। এ কারণে সকাল থেকে জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল।

তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতির এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ পরিবহন না পেয়ে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে এসে আবার ফিরে গেছেন। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প পরিবহনে নিজেদের গন্তব্যে গেছেন।

এদিকে, শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি অযৌক্তিক ও অমানবিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন হবিগঞ্জের সাংবাদিকরা। শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সকল সাংবাদিকরা আলোচনা করে আমরা এ কর্মবিরতি প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ সাগর বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি পুরোপুরি অযৌক্তিক ও অমানবিক। এমনকি তারা আমাদের একজন সাংবাদিক নেতার মা মারা যাওয়ার পর মরদেহ পর্যন্ত বহন করেনি। এটা অমানবিক ঘটনা।

বাস টার্মিনালে আসা কলেজ ছাত্রী রূপা আক্তার বলেন, আমি সিলেটের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি। ছুটিতে বাড়ি আসছিলাম। ফিরে যেতে এখানে এসে দেখি বাস নেই। এভাবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বাস চালানো বন্ধ রাখা ঠিক না। এতে আমরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। রুবিনা আক্তার নামে এক নারী জানান, হঠাৎ করে এমন আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা শ্রমিকদের অগ্রহণযোগ্য নৈরাজ্য।

সুরুজ মিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, হবিগঞ্জে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। বাস চলাচল না করায় বাড়িতে ফিরতে পারছি না। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী বলেন, হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্স রাখার জায়গা থাকলেও আমরা অ্যাম্বুলেন্স রাখতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীনতা হয়ে পড়েছে। আমাদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড দেওয়া হোক। তাছাড়া আরো কিছু বিষয় সমাধানে আমরা প্রশাসনকে নয় দফা দাবি জানিয়েছি।

হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার বলেন, হাসপাতাল এলাকায় যত্রতত্র অ্যাম্বুলেন্স পার্কিংয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রোগীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। হাসপাতাল পরিচালনা কমিটিসহ সকলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতালে পার্কিংয়ের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। তবে তাদের অন্য কোথাও স্ট্যান্ড করে দেওয়ার বিষয়ে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close