পাইকগাছ (খুলনা) প্রতিনিধি

  ১৪ মে, ২০২২

উচ্ছে চাষে দিনবদল

পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামের কৃষক নিমাই সানার দিন বদলেছে উচ্ছে চাষে। তিনি উচ্ছে চাষ করে হয়েছেন সাবলম্বী। সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে প্রতিবছর ১ বিঘা জমি কিনে বর্তমানে ১২ বিঘা জমির মালিক। মা-বাবা, স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার তার।

কৃষক নিমাই সানা বলেন, লেখাপড়ায় বেশী এগোতে পারিনি। অভাবের সংসারে রুটিরুজি জোগাড় করতে যখন দিশেহারা। সংসারের হাল ধরতে চাষাবাদকে পেশা হিসাবে বেছে নিই। উচ্ছে চাষে আমার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সংসারে স্বচ্ছতা আনতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাধক ঢালীর পরামর্শ ও সহযোগিতায় নিজ ১২ বিঘা এবং ৪ বিঘা বর্গা মোট ১৬ বিঘার মধ্যে সাড়ে ৯ বিঘা জমিতে উচ্ছে এবং ঢেঁড়স, বীণা স্বাদ ধান, মিষ্টিকুমড়াসহ অন্যান্য সবজি চাষ করি। এভাবেই শুরু করি চাষাবাদ। নিজস্ব জমিতে চাষ করায় ব্যয়ের তুলনায় অধিক আয় সম্ভব। তেমনি এ বছর নিজ জমিতে সাড়ে ৯ বিঘা উচ্ছে, ২ বিঘা ধান, ১০ কাঠায় ডাল, দেড় বিঘায় মিষ্টি কুমড়া, ২ বিঘাতে তরমুজসহ অন্যান্য সবজি চাষ করি।

তিনি আরো বলেন, উচ্ছে বিঘা প্রতি উৎপাদনে ১৩-১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২০ মণ উচ্ছে ৭০-৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখন আর ফসল বিক্রি করতে হাটে যেতে হয় না। পাইকাররা খেতে গিয়ে টাটকা সবজি কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে গত বছর উচ্ছে পাশাপাশি তরমুজ ও টমেটো চাষ করেও ব্যাপক লাভবান হয়েছিলাম। সব মিলিয়ে এখন পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ যোগাতেও চিন্তা করতে হয় না।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাধক ঢালী বলেন, মাটি ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় কৃষকরা এ চাষে ঝুঁকছেন। কুমখালী গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা নিমাই সানা সফলভাবে চাষাবাদ করে যাচ্ছেন। এখানে জৈবিক উপায় ফসল ফলানোর জন্য পোকামাকড় দমনের ক্ষেত্রে ফেরোমন ফাঁদ, ইউলাইস্টেকার ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে পোকা আকৃষ্ট হয়ে মারা যাবে। খেতে কোন রাসায়নিক কিটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জৈবিক উপায়ে ফসল ফলানো হয়। এতে খরচ কম লাভ বেশি। কৃষকদের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close