তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ৩০ মার্চ, ২০২০

সংরক্ষিত বনের পাশে ইটের পাঁজা

বরগুনার তালতলীতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাছাকাছি ইটের পাঁজা তৈরি করে ইট পুড়ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, সরকারি আইন অমান্য করে তালতলীর শুভসন্ধা সমুদ্র সৈকতের এক কিলোমিটারের আশপাশে ফসলি জমি ও জনবসতির মাঝে চারটি ইটের পাঁজা গড়ে ওঠেছে। নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কেটে ও সংরক্ষিত বনের কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করছে ইট। উপজেলায় প্রায় ১০টি অবৈধ ইটভাটা ও পাঁজায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। তবে ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। উপজেলার মেনিপাড়া এলাকার সোবাহান, শুভসন্ধা সমুদ্র সৈকতের পাশে রাসেলসহ একাধিক ব্যক্তির মালিকানাধীন ইটভাটা রয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ ইটভাটা ফসলি জমি ও বসতি এলাকায় গড়ে ওঠেছে। এতে করে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এসব এলাকার উদ্ভিদ। কমে যাচ্ছে ফলন। বাড়ছে মানুষের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। আর বনের গাছ কেটে এসব ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে।

শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের পাশে ইটপাঁজার মালিক রাসেল বলেন, বনের দুই কিলোমিটারের ভেতরে আমার ইটের পাঁজা। এতে কোনো পরিবেশের ক্ষতি হয় না।

মেনিপাড়া এলাকার আরেক ইটপাঁজার মালিক বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই এই ইটের পাঁজা তৈরি করছি।

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হাচানুর রহমান ঝন্টু বলেন, বনের পাশে ও বনের ভেতরে ইটের পাঁজা তৈরি করে ইট পুড়লে বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাবে, অন্যদিকে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। তবে প্রশাসন কী কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা ভেবে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

তালতলী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রি বলেন, শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের পাশে যে কয়টা ইটের পাঁজা আছে সেগুলো উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে সম্মলিতভাবে উচ্ছেদ করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সেলিম মিঞা বলেন, এই ইটের পাঁজাগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close