ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বিষখালীর ভাঙনের কবলে ঝালকাঠির সাইক্লোন শেল্টার
![](/assets/news_photos/2019/07/11/image-179667.jpg)
প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপকূলের মানুষের নিরাপদ একমাত্র আশ্রয়স্থল সাইক্লোন শেল্টার। কিন্তু ঝালকাঠি সদরের বিষখালী নদী তীরে অবস্থিত পশ্চিম দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারই এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙনকবলিত বিষখালী নদীর মাত্র ১০০ গজের মধ্যে শেল্টার নির্মাণে স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি। তখন বলা হয়েছিল, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদী শাসনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ভবনটি ভাঙনের চূড়ান্ত ঝুঁকিতে ছিল। তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানার ভয়ে তিনশতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল পশ্চিম দেউরী বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাতে অনেকেই সেখান থেকে নেমে যায়।
প্রশাসন সূত্র জানা যায়, মাত্র চার বছর আগে প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেউরী গ্রামে তৈরি করা হয় স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ইমারজেন্সি সাইক্লোন রিকভারি এন্ড রিস্টোরেশন প্রজেক্টের আওতায় এটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃদ্ধি পাওয়া পানির তোড়ে বিদ্যালয়ের একটি পানির ট্যাঙ্কি ও নলকূপ নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে বেজমেন্টের নিচের মাটি সরে গিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ভবনটি দাঁড়িয়ে আছে শুধু পাইলিংয়ের ওপর। তিন পাশেই বিষখালীর পানি থৈ-থৈ করছে। ভয়ে ক্লাসে আসছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা স্কুলে এলেও সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকেন।
শুধু স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টারটিই নয়, নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় বাজার, সড়ক, বসতঘর, ফসলি জমিসহ অসংখ্য গাছপালা। পশ্চিম দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি রক্ষা জন্য বিভিন্ন দপ্তরের কাছে অনেকবার জানিয়েও কোন উপকার পাইনি। এখন এটি নদীগর্ভে বিলিন হলে স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে পরবে।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমীন বলেন, ভবনটি নির্মাণের সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী শাসনের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও সেটি শেষ না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সাইক্লোন সেল্টারটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
"