জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংস্কারের তোড়জোড়
মাধবপুর থেকে শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ অংশ (প্রায় ৮২ কিলোমিটার) সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃষ্টির দিনে। সামান্য বৃষ্টিতেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এ পথে চলাচালকারী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত এ মহাসড়কের সংস্কার কাজ না হওয়া এবং বিভিন্ন পয়েন্টে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। তাই বলা যায়, এবারের ঈদযাত্রায় এ পথে চলাচলকারীদের সঙ্গী হয়েই থাকতে পারে দুর্ভোগ।
হবিগঞ্জ লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির জানাচ্ছেন, ইতোমধ্যেই তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাতে করে সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর থেকে নবীগঞ্জের শেষ সীমানা শেরপুর পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার মহাসড়ক হবিগঞ্জের সড়ক বিভাগের অধীনে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় অধিকাংশ স্থানেই ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে মাধবপুর পৌর এলাকা, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ পয়েন্ট, মিরপুর পয়েন্ট ও আউশকান্দি পয়েন্ট এলাকায় সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ। তবে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে মহাসড়কের এ অংশে সংস্কার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ।
এ সড়কটির বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মোতাব্বির হোসেন কাজল প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই ওইসব এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে প্রাণহানি। তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
মাধবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রজব আলী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, হবিগঞ্জ জেলায় যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তার বেশিরভাগই ঘটছে এ মহাসড়কে। বৃষ্টির দিনে খানাখন্দগুলো পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। তাই জনস্বার্থে মহাসড়কের খানাখন্দগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে তা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলছে। আশা করছি, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
"