রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মাংস ও পেঁয়াজের দাম
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মাংস ও পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে গরু-মহিষ ও খাসির মাংস ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া দেশি মুরগিতে ৬০ টাকা বাড়লেও সোনালি, লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে আট থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রমজান উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে পশুর আমদানি কম থাকায় মাংসের দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, রমজান উপলক্ষে যেসব জিনিসের দাম ইতোমধ্যেই বেড়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে প্রায় ১৫ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা। অথচ তার কয়েক দিন আগেই কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকা।
গতকাল শুক্রবার রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি মুরগির কেজিপ্রতি ৬০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। সোনালি মুরগিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ ও লেয়ার মুরগিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৬০-১৯০ দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা, মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা।
সাহেববাজার কাঁচা মার্কেট এলাকায় গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল বলেন, গরু আমদানি কম। তাই মাংসের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া মহিষের সরবরাহ কম থাকায় মহিষের মাংসের দামও বেড়েছে বলে জানান মাংস বিক্রেতারা।
গরুর মাংস কিনতে আসা আবদুর রহমান বলেন, রমজান এলে দেশের বাজারে সরবরাহের কমতি হয়। সারা বছর আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও রমজানের আগে কমতি পড়ে খাদ্যদ্রব্যের। তাই শুধু মাংসের নয়, সব ধরনের খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা রমজান মাসের আশায় বসে থাকেন।
সাহেববাজার আরডিএ মার্কেট এলাকার মুরগি বিক্রেতা শামীম উদ্দীন বলেন, রাজশাহী থেকে মুরগি ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গার ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। তাই বাজারে মুরগির সরবরাহ তুলনামূলক কম।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আতাহার রহমান জানান, মুরগির দাম বাড়লেও গরুর মাংসের দাম বাড়েনি। গরুর মাংস বাজারে ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নগর শাখার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন জানান, রমজানকে উপলক্ষ করে বাজারে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের পকেট কাটতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ দাম বাড়িয়েছে।
"