আশরাফুজ্জামান বাবু, বদরগঞ্জ (রংপুর)
চৈতালী হাওয়ায় বদরগঞ্জে দুলছে হাঁড়িভাঙা আম
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আম বাগানগুলো ভরে গেছে হাঁড়িভাঙা আমে। আমের গুটিগুলো চৈতালি বাতাসে দোল খাচ্ছে। এ গুটিকে বিভিন্ন পোকামাকড়ের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে স্প্রে করছেন প্রয়োজনীয় ওষুধ। তবে বর্তমানে তারা দুশ্চিন্তা করছেন বৈরী আবহাওয়া নিয়ে।
সরেজমিনে উপজেলার কুতুবপুর, গোপালপুর, লোহানীপাড়া, কালুপাড়া, বিষ্ণুপুরে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে বাগানে হাঁড়িভাঙার গুটি ঝুলছে। এসব এলাকার বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা এখন আম পরিচর্যায় ব্যস্ত। আমের গুটি ধরে রাখতে তারা গাছে গাছে ওষুধ দিচ্ছে। তারা আশা করছেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার আমের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চাষিরা বলেছেন, হাঁড়িভাঙার পাশাপাশি এ উপজেলায় এছারতেলি, কপিলবাংড়ি, সাদা, আম্রপালি, সূর্যপুরি, ন্যাংড়া, ফজলি, কুয়া পাহাড়িসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। এসব আমের স্বাদ ও গন্ধ হাঁড়িভাঙার চেয়েও কম নয়, বরং নতুন নতুন জাতের আমের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে এ অঞ্চলে। কালুপাড়ার বাগানের মালিক মাহাফুজ ওয়াহিদ চয়ন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ১০ বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছি। এতে প্রায় ৫০০ আম গাছ আছে। গতবার আম বাগান পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লাখ টাকা। বিক্রি করেছিলাম ১০ লাখ টাকা। এখন চিন্তা হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে। সব কিছু যদি অনুকূলে থাকে তাহলে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ আম বিক্রি করতে পারব। কিসমত ঘাটাবিল ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের বাগান মালিক হাসান আল মাহামুদ বলেন, আমার আম বাগানে হাঁড়িভাঙা জাতের প্রায় চার হাজার আম গাছ আছে। এবার গাছে যে পরিমাণ গুটি এসেছে তাতে আবহাওয়া যদি বৈরী না হয় তাহলে গত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ আম বিক্রি করতে পারব।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় এ প্রতিবেদকে জানান, উপজেলায় হাঁড়িভাঙা জাতের আম বাগান রয়েছে ৩৯৫ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
"