ক্রীড়া ডেস্ক
বার্সা-পিএসজির সহজ জয়
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে জয় পেয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাসের মতো হেভিওয়েটরা। তবে হোঁচট খেয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর চেলসি-এএস রোমার মধ্যকার রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে।
পরশু রাতে গোল পেয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। স্কোরশিটে নাম তুলেছেন কিলিয়ান এমবাপে এবং এডিনসন কাভানিও। আক্রমণভাগের ত্রিফলার এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে গোল উৎসব করেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। বেলজিয়ান ক্লাব অ্যান্ডারলেখটকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে এবারের আসরের ফেভারিট পিএসজি।
কন্সট্যান্ট ভ্যানডেনে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় উনাই এমেরির দল । মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বলে ডি বক্সের ডান দিকের দুরূহ কোণ থেকেই স্বাগতিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান এমবাপে। বিরতির আগ মুহুর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কাভানি। নেইমারের জোরালো শট কোনোমতে ফিরিয়েছিলেন ম্যাটজ সেলস। ফিরতি বল কাভানিকে পাঠান এমবাপে। মাথা ছুঁয়ে সেই বল জালে জড়ান উরুগুয়েন তারকা।
কাভানি-এমবাপে জালের দেখা পাবেন; কিন্তু নেইমার পাবেন না- তা কি হয়? বিরতির পর তাই গোলের পণ করেই যেন মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয়। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে বুদ্ধিদীপ্ত এক ফ্রি কিকে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ২৫ বছর বয়সী তারকা। ফ্রি কিকের সময়ে মানবপ্রাচীর তৈরি করা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা লাফিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ‘ধূর্ত’ নেইমার তাদের পায়ের নিচ দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।
পরশু রাতে গোল পেয়েছেন আনহেল ডি মারিয়াও। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করে বড় জয় নিশ্চিত করেন কাভানির বদলি হিসেবে নামা এই আর্জেন্টাইন তারকা। টানা তৃতীয় জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে শীর্ষেই থাকলো ফেঞ্চ জায়ান্টরা।
এদিকে, ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে জিতেছে বার্সেলোনা। গ্রিক চ্যাম্পিয়ন অলিম্পিয়াকোসকে ৩-১ গোলে পরাজিত করেছে কাতালানরা। তবে সহজ জয় পেলেও ম্যাচটি ছিল নাটকীয়তায় ঠাসা। স্বাধীনতার দাবিতে বিদ্রোহের জেরে লাস পালমাসের বিপক্ষে দর্শকশূন্য অবস্থায় খেলছিল বার্সা। তবে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের এই ম্যাচে ন্যু ক্যাম্প ছিল দর্শকে ভরা। স্টেডিয়াম ভর্তি সেই দর্শকদের সামনেই বাঁ পায়ের ট্রেডমার্ক ফ্রি কিকে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে শততম গোল করেন লিওনেল মেসি। তার মাইলফলকের রাতে ম্যাচের ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। তবে ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় জেরার্ড পিকেকে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারে প্রথমবার লাল কার্ড দেখা এই রক্ষণসেনাকে মাঠপথে হারালেও আধিপত্য ধরে রাখতে সক্ষম হয় এর্নেস্টো ভালভার্দের দল। ৬১ মিনিটে মেসির মাইলস্টোনের তিন মিনিট বাদেই কাতালানদের আরেকবার এগিয়ে দেন লুকাস দিনিয়ে। আর ৮৯ মিনিটে অলিম্পিয়াকোসের হয়ে সান্ত¦নাসূচক গোল করে ব্যবধান কমান দিমিত্রিস নিকোলাউ।
তবে সব ছাপিয়ে এক শিহরণ জাগানিয়া ম্যাচের জন্ম দেয় স্টামফোর্ড ব্রিজ। যে ম্যাচটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ বললে ভুল হবে না। হাফ ডজনের থ্রিলারে ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন চেলসির বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে ইতালিয়ান জায়ান্ট এএস রোমা। অমীমাংসিত ম্যাচে লড়াইটাও হয়েছে সমানে সমান। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া রোমাই একটা সময় এগিয়ে গিয়েছিল। তবে ৭৫ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ড শেষবার লক্ষ্যভেদ করলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে দু’দল।
"