আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাদ পড়াদের বিতাড়নে মোদি সরকারের কৌশল

ভারতের আসাম রাজ্যের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশ হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রকাশিত ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের কীভাবে বিতাড়ন করা হবে সেই কৌশল নির্ধারণ করছে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।

আসামের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘অবৈধ অভিবাসীদের কীভাবে বিতাড়ন করতে পারি সে সম্পর্কে নতুন কৌশল গ্রহণে কেন্দ্র ও আসাম সরকার মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যক বাঙালি হিন্দুকে এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বহু বিজেপি নেতাও।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ সলমারা ও ধুবরির মতো বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলোতে মানুষের বাদ পড়ার হার সর্বনিম্ন অথচ ভূমিপুত্র জেলায় প্রচুর হিন্দু মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এটি কীভাবে হতে পারে? আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’

বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা আরো বলেন, ‘আমরা খসড়া তালিকার ঠিক পরেই এনআরসির বর্তমান রূপ নিয়ে আশা হারিয়ে ফেলেছি। যখন এত সংখ্যক প্রকৃত ভারতীয়রাই তালিকার বাইরে থাকেন, তখন আপনি কীভাবে দাবি করতে পারেন যে, এই নাগরিক তালিকা অসমিয়া সমাজের মঙ্গল করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এনআরসি কোনো বাংলাদেশিকে বহিষ্কারের জন্য কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নয়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং আপনি বিজেপি আমলে এমন অনেক ফাইনাল দেখতে পাবেন।’

কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য বলেছে, চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান না পাওয়া ব্যক্তিদের সব রকমের আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই বিদেশি ঘোষণা করা যাবে না। বাদ পড়া প্রতিটি ব্যক্তি বিদেশি ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার সময়সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।

বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা কেবল শান্তিপূর্ণভাবে, ভালোভাবে এই এনআরসি তালিকা করার কাজ শেষ করতে চাই এবং আমরা এটি নিশ্চিতভাবেই করব। তবে এই এনআরসি আমাদের বিদেশিদের হাত থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close