ডা. মহসীন কবির

  ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

দুই বছরের পর থেকে সবার জন্য কৃমির ওষুধের ডোজ একই, অর্থাৎ আপনি যে পরিমাণ ওষুধ খাবেন, আপনার আড়াই বছরের শিশুও একই পরিমাণ ওষুধ খাবে। তাই এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত হবেন না। বাড়ির সবার একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত। এতে ক্রিমি থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। সুস্থ মানুষ বা শিশুরা যদি চার-পাঁচ মাস পরপর কৃমির ওষুধ খায়, তাহলে কোনো ক্ষতি হয় না। আজকাল দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও কৃমির ওষুধ খাওয়ানো যায়, কিন্তু তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শিশু সুতাকৃমি বাদে অন্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি ১২ ঘণ্টা পরপর তিন দিন বা অ্যালবেনডাজল ৪০০ মিলিগ্রামের একটি বড়ি বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে। সুতাকৃমি হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের বা অ্যালবেনডাজল ৪০ মিলিগ্রামের বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি বড়ি খাওয়াতে হবে। এর দুই সপ্তাহ পর আরো একটি বড়ি খাওয়াতে হবে। ক্রিমির ওষুধের জন্য শীত বা গ্রীষ্ম কোনো ব্যাপার নয়, যেকোনো সময়ই খাওয়ানো যায়। এতে শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না। জেনে রাখা ভালো, বিভিন্ন জাতের কৃমি শিশুদের শরীরে নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। শিশুদের কৃমির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ খাওয়ায় অরুচি, আয়রনের ঘাটতি এবং রক্তশূন্যতার কারণে দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, অপুষ্টিতে ভোগা, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া। কৃমির কারণে অ্যালার্জি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, কফ-কাশি হতে পারে।

লেখক : জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক; ইনচার্জ, ইনস্টিটিউট অব জেরিয়েট্রিক মেডিসিন (আইজিএম), বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, ঢাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist