স্বাস্থ্য ডেস্ক

  ২০ মার্চ, ২০২৪

চল্লিশের পর প্রতিদিন ডিম খাওয়া ভালো?

ডিম সুস্বাদু আর সহজলভ্য এক খাবার। হাতের তালুর সমান ছোট এই খাবারে রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ১৩টি পুষ্টিগুণ। ডিম সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে অন্যতম। ডিমকে বলা হয় ‘গরিবের প্রোটিন’। আবার টেকসই প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে এর স্থান সবার ওপরে।

বয়স আট হোক বা আশি, শরীর ফিট রাখতে ডিম খাওয়া জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু একটা বয়সের পর রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, অনেকেই সেটা বুঝতে পারেন না। এই ভাবনা মাথায় আসে ৪০-এর পর থেকেই। চল্লিশের পর রোজ ডিম খাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়। বয়স ৪০ পেরোলে কি ডিম খাওয়ায় রাশ টানা জরুরি?

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বয়স যত বাড়তে থাকে ততই পেশির ক্ষয় শুরু হয়। ডিম পেশির ক্ষয় আটকায়। ডিমে যেহেতু পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে, সে কারণে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয় ডিম খেলে। তা ছাড়া ডিম অত্যন্ত সহজপাচ্য। এতে লিউসিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি গঠনে অত্যন্ত উপকার। পাশাপাশি ডিমে থাকে ভিটামিন ডি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। হৃদ্যন্ত্র ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও নিয়ম করে ডিম খাওয়া জরুরি।

চল্লিশ পেরিয়ে গেলে কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। সম্প্রতি গবেষকদের একাংশ বলছেন, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়। পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলে সপ্তাহে তিনটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। যারা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না, তারা ডিম খেতে পারেন, তবে কুসুম বাদ দিয়ে। তবে মনে রাখা দরকার, সবার শরীর সমান নয়। কাজেই কোনো অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে বা পুষ্টি-সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো দ্বিধা বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডিম খাওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close