প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ মে, ২০২৪

টানা পঞ্চম মেয়াদে শপথ পুতিনের

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা পঞ্চম মেয়াদে শপথ নিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান। গত মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ৭১ বছর বয়সি এ নেতা। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

প্রেসিডেন্ট পুতিন শপথ গ্রহণের পর বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। সম্মিলিতভাবেই সব বাধা অতিক্রম করব আমরা। আমাদের সব পরিকল্পনা সফল করেই জয়ী হব আমরা। পুতিন ১৯৯৯ সাল থেকেই প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। ১৯৯৬ সালে সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন পুতিন। পরে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিন পদত্যাগ করলে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকার অনুমতি তখন রাশিয়ার সংবিধানে ছিল না। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে পুতিন নিজের বিশ্বস্ত অনুসারী দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান এবং নিজে হন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। ওই নির্বাচনে পুতিন ও মেদভেদেভ উভয়ই জয়ী হন। এরপর ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধন প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৪ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬ বছর এবং একইসঙ্গে দুবারের বাধ্যবাধকতা বাতিল করেন পুতিন ও মেদভেদেভ। মূলত এ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আজীবন ক্ষমতায় থাকার পথ খুলে নেন পুতিন।

২০১২ সালের নির্বাচনে ফের প্রেসিডেন্ট হন পুতিন এবং মেদভেদেভ হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হন পুতিন। এবার প্রেসিডেন্ট হয়ে আরো ৬ বছর অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা নিজের করে নিলেন পুতিন। রাশিয়ায় এ পর্যন্ত দীর্ঘসময় প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ড গড়েছেন সাবেক সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। টানা ২৮ বছর ক্ষমতায় থাকা স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলার পথে রয়েছেন পুতিন।

এদিকে পুতিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় বেশিরভাগ দেশ। পোল্যান্ড, জার্মানি এবং চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূতদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তবে মস্কোয় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে লেভি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পুতিনের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, রাশিয়ার এবারের নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বিবেচনা করে না যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্ব চলছে। তাই পুতিনের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close